আগামী বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল টেস্টিং অথোরিটি’ (এনটিএ) গঠন করা হবে। এছাড়া এ পরীক্ষার বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে শিগগির একটি কমিটি গঠন করা হবে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) এ সংক্রান্ত নীতি-নির্ধারণী সভায় বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে এখন থেকেই সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এইচএসসি পরীক্ষার পর একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সূচি প্রকাশ করা হবে এবং উচ্চশিক্ষার সবক্ষেত্রে একই সময়ে ক্লাস শুরু হবে। একক ভর্তি পরীক্ষার মান বজায় রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব পরীক্ষার ফলের মান নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন ওঠে না। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে এর মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠার সুযোগ থাকবে না। একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র্য, স্বায়ত্তশাসন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভর্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্তিমূলক করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিতে সভায় কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু ইউসুফ মিয়া এবং ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত জানান ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর এবং একক ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান। উপাচার্যরা তাদের মতামত প্রকাশ করেন। এতে একক ভর্তি পরীক্ষার জন্য একটি কাঠামো, জাতীয় পর্যায়ে একটি নীতিমালা তৈরি ও পরীক্ষার মাধ্যমে একটি স্কোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা কোনো লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা নেবে কিনা সে বিষয়ে কিছু আলোচনা হয়নি। অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা হলে স্বল্প সময়ের মধ্যে পাঠদান শুরু করা যাবে। একক ভর্তি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করা গেলে সবার কাছে এটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে। একক ভর্তি পরীক্ষার সফলতা উচ্চশিক্ষায় বিশাল একটি অর্জন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।