আগুন লাগার ঘটনায় বিএনপিকে টার্গেট করছে সরকার: মির্জা ফখরুল


সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনায় ও শনিবার নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় বিএনপিকে সরকার টার্গেট করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) উদ্যোগে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিল এবং বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। তারা আমাদেরকে সবসময় বলেন, আমরা নাকি মিথ্যা কথা বলি। তিনি আজকেও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন যে, এসব আগুন লাগার ঘটনায় বিএনপি জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি তদন্তের আগেই বলে দিলেন। তার মানে তদন্তটা সেভাবেই করতে হবে। এভাবে তারা বিএনপিকে টার্গেট করছে।’ তিনি বলেন, ‘আসলে আওয়ামী লীগ ১৯৭২-৭৫ সালেও তিনবছর দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছিলো। তারা সেই সময় একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলো। তারাই অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা।’ বিএনপির মহাসচিব পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলেন, ‘আজকে সকল দেশপ্রেমিক জনতাকে ফের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিএনপি ঘোষিত দশ দফার মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাতে হবে। কেননা তারা রাষ্ট্রকে ভেঙে ফেলেছে প্রায়। সেজন্য তারেক রহমান ২৭ দফা ঘোষণা করেছেন। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রকে সংস্কার করতে হবে। জনগণের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। এরপরই আমাদেরকে জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।’ এ সময় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানবসেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জেডআরএফ। বিশেষ করে করোনাকালে যেভাবে সহায়তা করেছে নজিরবিহীন।’ জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও ইফতার আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক কাদের গণি চৌধুরী ও সদস্যসচিব ডা. একেএম মাসুদ আক্তার জীতুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ঢাবির সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, সাবেক কেবিনেট সচিব এএসএম আব্দুল হালিম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, এ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সংস্কৃতি চর্চা পরিষদের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- ড্যাবের সাবেক সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হক, ইউট্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাবি সাদা দলের অধ্যাপক ড আবদুর রশিদ, ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেসানী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, ড্যাবের মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম, জেডআরএফের ডা. এএইচএস হায়দার পারভেজ, অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান ও কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম।