আঘাত আসলে লাঠি কেড়ে নিয়ে পেটাতে হবে: হুঙ্কার জয়নুল আবদীনের


লাঠির আঘাত মাথায় আসলে সেই লাঠি কেড়ে নিয়ে তাকে পেটানোর হুঙ্কার দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাশ এবং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এ হুঙ্কার দেন। ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ নিয়ে ফারুক বলেন, বিএনপি এখন কৌশলী হয়েছে, বিএনপির ভাইয়েরা কৌশল গ্রহণ করেন। কারো বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিশোধ নেওয়ার দরকার নাই। যখন দেয়ালে আমার পিঠ ঠেকেছে, লাঠির আঘাত আমার মাথায় আসলে অবশ্যই সেই লাঠি কেড়ে নিয়ে তাকে পেটাতে হবে। তবে ২৮ তারিখ কিছুই হবে না। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিই হবে। তাই বলতে চাই- আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা কথা বন্ধ করুন। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে দিন। আমরা আমাদের কথাগুলো মানুষকে বলি। যতই বাধা দেবেন ততই জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়বে। তিনি বলেন, আমরা ১৭ জন সহকর্মী হারিয়েছি। ২৮ তারিখ দরকার হলে আরও ১৭ হাজার জীবন দেব, তবুও আপনাদের ক্ষমতায় থাকতে দেব না। তারেক রহমান বলেছেন, তিনি এ দেশে আর মৃত ভোট দেখতে চান না। আগামী ২৮ তারিখ মহাযাত্রা শুরু হবে, সেই যাত্রায় এই স্বৈরাচার সরকারের পতন হবে। সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, মানুষকে ভালোবাসলে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। প্রতিদিন স্কুল-কলেজ, মহাসড়ক উদ্বোধন করেন। গরিবের ট্যাক্সের হাজার হাজার টাকা খরচ করেন। নির্বাচনকে ভয় পান কেন? একটা নির্বাচন দিয়ে দেখেন না। পুলিশ দিয়ে আবার ক্ষমতায় যাবেন, এবার আর হবে না। ২৮ তারিখ এই সরকারের বিরুদ্ধে ফয়সালা হবে। গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে নেতাকর্মীদের ২৮ তারিখ সমাবেশে আসতে বাধা দিতে পারবেন না। ভোট চোরের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতউল্লাহ, মৎসজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আদাবর থানা বিএনপি সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নির্বাহী কমিটি সদস্য হারুনর রশীদ প্রমুখ।