আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মিলি


রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরেকজন চিকিৎসক জামিন পেয়েছেন। হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত মাসে এই মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন ডা. মিলি। এরপর ২৫ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানি নিয়ে আদেশের জন্য ৫ জুলাই দিন ঠিক করেন। পরে ৫ জুলাই ডা. মিলিকে জামিন না দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবের জন্য গত ৯ জুন রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে আসেন কুমিলল্লার গৃহবধূ মাহবুবা রহমান আঁখি। তিনি সংযুক্তা সাহার অধীনে স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবের জন্য এসেছিলেন। সংযুক্তা সাহা বিদেশে থাকায় সহযোগী চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেদিন আঁখির সন্তান প্রসব করান। পরদিন নবজাতকটি মারা যায়। ১৮ জুন মারা যান আঁখিও। ডা. সংযুক্তা সাহাসহ কয়েকজন চিকিৎসক এবং সেন্ট্রাল হাসপাতালের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে ফৌজদারি মামলা করেন আঁখির স্বামী মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, রোগী ও তার পরিবারকে সার্জারির আগে বলা হয়েছিল যে সংযুক্তা সাহা আঁখির অপারেশন করবেন। তবে হাসপাতালে তাকে ওই চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি করা হলেও ডা. সংযুক্তা সাহা দেশেই ছিলেন না। অন্য চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা ব্যর্থ হলে তখন অস্ত্রোপচার করে বাচ্চা বের করা হয়। পরদিন মারা যায় শিশুটি। পরে ১৮ জুন মারা যান মা আঁখিও। মামলা দায়েরের পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ, যারা গতকাল (মঙ্গলবার) জামিন পেয়েছেন। আজ (বুধবার) আরও একজন চিকিৎসক জামিন পেলেন।