আমরা দেশ বা ব্যক্তির দুর্নীতি ধরতে আসিনি: ড. দেবপ্রিয়


দেশে বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আমরা দেশের বা ব্যক্তির দুর্নীতি ধরার জন্য আসিনি। কোন খাতে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তার ব্যাপ্তি নির্ণয় করার জন্য আমাদের কমিটি কাজ করবে। এটা দুর্নীতি ধরার কমিটি নয়। এছাড়া আমাদের এই কমিটি আর্থিক খাতের সংস্কারে সরকারের উদ্যোগ বিষয়ে সুপারিশ দিয়ে সহযোগিতা করবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে কমিটির প্রথম বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির বৈঠকে ড. জাহিদ হোসেন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ড. সেলিম রায়হান, অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, ফেরদৌস আরা বেগম, ইমরান মতিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু ইউসূফ ও অধ্যাপক ম. তামিমসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ড. দেবপ্রিয় বলেন, ব্যাংক বা আর্থিক খাতের অবস্থা মূল্যায়ন করা হবে না। সেটার জন্য সরকার আলাদা ব্যাংকিং কমিশন করবে। তবে কমিটির কার্যক্রমে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান এলে, তার নানা দিক বিবেচনা করা হবে। তবে বিদায়ি সরকার যা করেছে, তার পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন এই কমিটি করবে না। তিনি আরও বলেন, বিদায়ি সরকার অনেক নীতিমালা তৈরি করেছে। সেগুলোর প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করা হবে। এ ছাড়া নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কেমন হবে, সেটার ইঙ্গিত ও এলডিসি থেকে উত্তরণ কতটা মসৃণ হবে, সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিদেশি সহযোগীদের সঙ্গে আগামীতে সম্পর্ক কেমন হবে, সে বিষয়েও ইঙ্গিত দেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থ পাচারের বিষয়ে আমরা কথা বলব। এটি আলোচনা হয়েছে। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। খুঁজে পেলেও ওটার জন্য দেশে মামলা করতে হবে। পরে ওই দেশের আইন অনুযায়ী আগাতে হবে। আর যাতে কেউ এই সুযোগ না পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে এবং যারা এই কাজ করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে সুপারিশ দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করব কতটা টাকা পাচার হয়েছে সেটা জানার। কিন্তু কারা পাচার করেছে তাদের নাম প্রকাশ করব না। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো প্রকল্পের ব্যয় বা যৌক্তিকতা যাচাই করা হবে না। তবে মেগা প্রকল্পের নানা দিক খতিয়ে দেখা হবে।