আলতাফ হোসেনকে স্থায়ী বিচারক নিয়োগে বিবেচনা করা যায়


সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনকে সরকার হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ। সর্বোচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, আলতাফ হোসেনকে কেন বিচারপতি হিসাবে স্থায়ী করা হলো না, তার রেকর্ডের যথাযথ কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে ৭ বিচারকের বেঞ্চ ১৫৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। ২০২৩ সালের ১৪ জুন দেওয়া ওই রায় এখন পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশিত হয়েছে। বেঞ্চের অপর ছয় সদস্য হলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। আপিল বিভাগে এ মামলায় এবিএম আলতাফ হোসেনের পক্ষে অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, মোমতাজ উদ্দিন ফকির, মোতাহার হোসেন, এম সাইদ আহমেদ, মাহবুব শফিকসহ ১১ জন আইনজীবী শুনানি করেন। রায় প্রকাশের পর অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী বলেন, ৭ বিচারপতির মধ্যে ৬ জন এবিএম আলতাফ হোসেনকে বিচারক হিসাবে নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে একমত পোষণ করেছেন। শুধু একজন ভিন্নমত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই রিট মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সরকার এবিএম আলতাফ হোসেনকে বিচারক হিসাবে স্থায়ীভাবে নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। সরকার এটি মানতে বাধ্য কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা সেভাবে বলা উচিত নয়; সর্বোচ্চ আদালত ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এটা। তবে পৃথিবীর বহুদেশে নজির আছে উচ্চ আদালতের ইচ্ছা মানে, এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা না করলে আদালত অবমাননার মতো কিছু হবে কি না-এমন প্রশ্নে এ আইনজীবী বলেন, সেটা বলার সময় এখনো আসেনি। এখন কিছু বলা যাবে না। ২০১২ সালের ১৪ জুন এবিএম আলতাফ হোসেনসহ ছয়জনকে অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে হাইকোর্টে নিয়োগ দেওয়া হয়। অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আলতাফকে বাদ দিয়ে অন্য পাঁচজনকে ২০১৪ সালের ৯ জুন স্থায়ী করা হয়। এরপর স্থায়ী নিয়োগ পেতে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে ১২ আগস্ট রিট আবেদন করেন আলতাফ হোসেন। এদিকে তাকে স্থায়ী বিচারক হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ওই বছর ২৩ জুলাই আলাদা রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান। ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট দুটি আবেদনই খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে আপিলের অনুমিতে চেয়ে আবেদন করেন আলতাফ।