আ’লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা সম্মেলন শেষ করার তাগিদ


আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা ও মহানগর সম্মেলনগুলো দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। একই সঙ্গে সম্মেলন হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি এমন জেলাগুলোর কমিটি গঠনের কাজ শেষ করতে চায় দলটি। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে তৃণমূলে দল গোছানোর সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন নেতারা। অন্যথায় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের। সোমবার সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে মেয়াদোত্তীর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই, এমন জেলা ও মহানগর নেতাদের ঢাকায় তলব করে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভা সূত্র জানিয়েছে, দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ের নেতাদের তরফে মেয়াদোত্তীর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ কমিটিবিহীন জেলা ও মহানগরগুলোর কারণে সৃষ্ট জটিলতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। তাঁরা জানান, এমন ২৭টি জেলা ও মহানগরে নেতৃত্বের চরম দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন হয়নি, এমন ৯টি জেলা ও মহানগরে নতুন নেতৃত্ব গড়ে না ওঠায় দলীয় কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা যাচ্ছে না। আবার ১৮টি জেলা ও মহানগরে সম্মেলন হওয়ার তিন-চার মাস পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়ায় সেখানে দ্বন্দ্ব-কোন্দল বেড়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিরুদ্ধে পদ-বাণিজ্যের অভিযোগও আসছে। তাই জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দ্রুত মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা ও মহানগর সম্মেলন শেষ করা অথবা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা না হলে দল সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে জন্য জেলা ও মহানগর কমিটির নেতাদের ঢাকায় ডেকে এসব বিষয় সমাধান করা প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়া আগামী আগস্টের আগেই শেষ করার তাগিদ দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিষয়টি নিয়ে দলীয় প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে তৃণমূলের ওইসব নেতাকে ঢাকায় ডেকে কথা বলা হবে বলেও জানান তিনি। সভায় সম্পাদকমণ্ডলীর বেশিরভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, তৃণমূল সম্মেলন কার্যক্রম চলার পরও দলের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে এখনও ৯টির সম্মেলন শেষ করা যায়নি। এগুলো হচ্ছে– মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর, গাজীপুর মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর ও ময়মনসিংহ মহানগর। এ ছাড়া সম্মেলন হওয়ার দীর্ঘ সময় পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি এমন সাংগঠনিক জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, শেরপুর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ, কক্সবাজার, মানিকগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, বরগুনা ও মৌলভীবাজার জেলা। গত বছর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্রে সংযোজিত নতুন ধারা অনুযায়ী দলের কোনো কমিটির সম্মেলনের ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে। তবে সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত এসব জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এই ধারা লঙ্ঘন করে সম্মেলনের চার-পাঁচ মাস পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটিগুলো গঠন করেননি অথবা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এসব জেলার নেতাদের ঢাকায় ডেকে এনে এর সমাধান করার সিদ্ধান্ত আগেও হয়েছিল। তবে সে সময় তারিখ নির্ধারণ করেও ওই মতবিনিময় সভা করা যায়নি। সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় আগামী ২৩ জুন দলের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে দেশের অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় নিয়ে অনাড়ম্বর ও সংক্ষিপ্তভাবে এসব কর্মসূচি আয়োজিত হবে। দলের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে এখনও ৯টির সম্মেলন শেষ করা যায়নি। এগুলো হচ্ছে– মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর, গাজীপুর মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর ও ময়মনসিংহ মহানগর। এ ছাড়া সম্মেলন হওয়ার দীর্ঘ সময় পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি এমন সাংগঠনিক জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, শেরপুর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ, কক্সবাজার, মানিকগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, বরগুনা ও মৌলভীবাজার জেলা। গত বছর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্রে সংযোজিত নতুন ধারা অনুযায়ী দলের কোনো কমিটির সম্মেলনের ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে। তবে সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত এসব জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এই ধারা লঙ্ঘন করে সম্মেলনের চার-পাঁচ মাস পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটিগুলো গঠন করেননি অথবা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এসব জেলার নেতাদের ঢাকায় ডেকে এনে এর সমাধান করার সিদ্ধান্ত আগেও হয়েছিল। তবে সে সময় তারিখ নির্ধারণ করেও ওই মতবিনিময় সভা করা যায়নি। সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় আগামী ২৩ জুন দলের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে দেশের অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় নিয়ে অনাড়ম্বর ও সংক্ষিপ্তভাবে এসব কর্মসূচি আয়োজিত হবে।