আ.লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কী কথা হলো, যা জানালেন চুন্নু


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় পার্টি। শুক্রবার দিবাগত রাতে সংসদ ভবনে এ বৈঠক করেন জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। আর জাতীয় পার্টির পক্ষে ছিলেন পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। সেই বৈঠক নিয়ে আজ (শনিবার) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানালেন, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কৌশল নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো জোট নিয়ে আলোচনা হয়নি। কোনো জোট-মহাজোটের সুযোগ নেই, এসবে আস্থা ও বিশ্বাস নেই উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘সব আসনেই নির্বাচন করব। নির্বাচন করতে এসেছি, ভোট থেকে চলে যাওয়ার জন্য আসিনি। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ফাইট করব, একটা সিটও প্রত্যাহার করব না। কোনো (প্রার্থীর প্রার্থিতা) প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, সব সিটেই নির্বাচন করব।’ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বৈঠক করিনি। আগেও বলেছি, এখনো বলছি। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি নিয়ে সময়ে সময়ে কথা বলেছি আওয়ামী লীগের সঙ্গে। আপনারা (সাংবাদিক) যেটা (আসন সমঝোতা) ইঙ্গিত দিলেন, সেটাও অনেক সময় হয়। সংসদীয় রাজনীতিতে অনেক সময় দেখা যায় স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার পদে যারা থাকেন তাদের আসনে নির্বাচন করেন না। ব্রিটিশ সংসদে এই ধরনের একটা নজির আছে। ভারতীয় সংসদসহ অনেক সংসদে দেখা যায় অনেক বিজ্ঞ বিজ্ঞ লোক আছেন। সেখানে দেখা যায় ভালো লোক যারা, ভালো সংসদ সদস্য- তাদেরকে অনেক সময় ছাড় দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘চরম বিরোধী দল থাকলেও এক দলের সঙ্গে আরেক দলের ছাড়ের প্রশ্ন আছে। ঠিক এরকম একটা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমরাও ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে ভোটের সার্বিক বিষয়, কোনো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারলে ভালো হয়, সেই সব সুযোগ আছে কিনা- তা নিয়ে আলোচনা যে হয়নি তা নয়, হয়েছে। কোনো বিষয় নির্দিষ্ট করে আলোচনা হয়নি। আসনের বিষয়টা খুব বেশি মুখ্য না। সব আলাপ তো বলা যাবে না, আরও আলাপ হবে।’ জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘এটা তো ঠিক, সব দল তার নিজস্ব প্রয়োজনে যেকোনো টেকনিকে একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা বললে সবাই নিজের সুবিধাটা পেতে চায়। সেটা তো সবার বেলায় ঠিক।’ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বারবার আলোচনা কেন এবং আলোচনার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘৭ তারিখের (৭ জানুয়ারির) আগ পর্যন্ত ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ভোটের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। কাল (শুক্রবার) হয়েছে, আজকেও (শনিবার) হবে। এরপরেও হবে। ১৮ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ, তারপরেও হবে।’ জাতীয় পার্টির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা দৃষ্টান্ত রাখতে চাই, ভোটে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, কিন্তু ভোটকে সুষ্ঠু করার জন্য দুই দলই প্রয়োজনে আমরা মাঝেমধ্যে বসব। আমার কৌশল সবগুলো কি প্রকাশ করব? এটা কি কেউ করে?’