ইইউ প্রতিনিধি দল জামায়াতের সঙ্গেও বৈঠক করবে
অনলাইন নিউজ ডেক্স
ঢাকায় সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের এই সফর। সফরে তারা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক যেমন করছেন তেমিন দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও বসছেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক আগেই নির্ধারিত ছিলো। এবার তারা দেশের অন্যতম বৃহৎ ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বসার জন্য সে দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে ইইউ প্রতিনিধি দলের সিনিয়র সচিব চেরি মেরিলিন ডিও বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়ে জামায়াতকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
দলটিকে বৈঠকের জন্য ১৫ জুলাই দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তবে জামায়াতকে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হলেও কয়জন সদস্য অংশ নেবেন, তা ইইউর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতারা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ গণমাধ্যমকে জানান, আমরা বৈঠকের আমন্ত্রণ পেয়েছি। আশা করছি, ১৫ জুলাই বিকেলে গুলশানে ইইউর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ করব ইনশাআল্লাহ।
ইইউর ৬ সদস্যের একটি অনুসন্ধানী অগ্রগামী দল গত শনিবার ১৬ দিনের সফরে ঢাকায় এসেছে। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ ও নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। প্রতিনিধি দলটি মূলত আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উপযোগিতা এবং সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন করবে। এ লক্ষ্যে এখানকার রাজনৈতিক পরিবেশ, নির্বাচনী কাঠামোর মূল্যায়ন, ঘনিষ্ঠ অংশীদার সরকারি কর্তৃপক্ষ, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করবে।
ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, এবি পার্টিসহ নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত দলগুলোকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গুলশানে ইইউর কার্যালয়ে ১৫ জুলাই দিনের বিভিন্ন সময়ে দলগুলোর সঙ্গে এ বৈঠক হবে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।