ইউক্রেনকে সদস্যপদ নয়, সমর্থন দেবেন ন্যাটো ও বাইডেন
অনলাইন নিউজ ডেক্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার ব্রিটেনে পৌঁছেছেন। এর পর তিনি লিথুয়ানিয়ায় সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। তার আগেই যুদ্ধরত ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়টি আলোচনায় উঠেছে। তবে ন্যাটো ও বাইডেন চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন করার পক্ষে থাকলেও দেশটিকে এ মুহূর্তে জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে নারাজ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদেনে এমন তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাটোর ৩১ সদস্য দেশের মধ্যে সংহতি গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে এই সপ্তাহে লিথুয়ানিয়ায় জোটের শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনা হবে। এ ছাড়া সুইডেনের ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তকরণের বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে কথা বলতে পারেন বাইডেন। কারণ তুরস্কের আপত্তির কারণেই আটকে আছে সুইডেনের বিষয়টি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, ব্রিটেন থেকে বাইডেন সোমবার রাতে লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে যাবেন এবং সেখানে মঙ্গলবার ও বুধবার ন্যাটো নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন। বাইডেন এবং ন্যাটো মিত্রদের লক্ষ্য হলো— ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন দেখানো এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ভবিষ্যতে ন্যাটো সদস্যপদ লাভের জন্য কী করতে হবে; সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।
এদিকে ব্রিটেনের উদ্দেশে যাত্রা করার আগে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ন্যাটোর পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির কারণে জোটটি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, এ মুহুর্তে বিশেষ করে যুদ্ধের মাঝামাঝি, ইউক্রেনকে ন্যাটো পরিবারে অন্তর্ভুক্তকরণের ব্যাপারে ন্যাটোতে ঐকমত্য আছে।’
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।