ইসলামিক ফাউন্ডেশন চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েও নিয়োগ পাননি ৪৫ চাকরি প্রত্যাশী
অনলাইন নিউজ ডেক্স
চূড়ান্ত সুপারিশ পেলেও নিয়োগ না পাওয়ায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নবম গ্রেডের উপরে পদের ৪৫ জন চাকরি প্রত্যাশী। এর মধ্যে উপপরিচালক ১২ জন, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ৫ জন, মেডিকেল অফিসার ৭ জন, সহকারী পরিচালক ১৪ জন এবং স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক কাম মেডিকেল অফিসার একজন।
আরও আছে সমাজ বিজ্ঞান প্রশিক্ষক একজন, প্রোগ্রাম অফিসার ৪ জন এবং রিসার্স অফিসার ও সহকারী সম্পাদক একজন করে। প্রায় এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার সোমবার বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কিছু সমস্যা আছে। এখানে কারিগরি কারণে নতুনদের নিয়োগ দিতে একটু দেরি হচ্ছে। কেননা দীর্ঘদিন ধরে যারা কাজ করছেন তাদের প্রমোশন হচ্ছে না। এ নিয়ে মামলাও আছে। যদি চলতি মাসে নতুনদের নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে তারা সিনিয়র হবেন। আর দীর্ঘদিন যারা কাজ করছেন তারা জুনিয়র হবেন। তাই আগামী জানুয়ারি মাসে নিয়োগ দিলে এ সমস্যা আর থাকবে না। তাদের নিয়োগের পর আগামী বছরের ডিসেম্বরেও যদি পুরোনোরা প্রমোশন পান তাহলেও তারা সিনিয়র থাকবেন।
সূত্র জানায়, জনবলের সংকট কাটাতে ২০১৮ সালে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হলেও অভ্যন্তরীণ নানা দ্বন্দ্বের কারণে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও এগোতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ১৫ জুন চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগ প্রাক জীবন বৃত্তান্ত যাচাই প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এসেছে অনেক আগে। এরপর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠি ও অন্যান্য নথি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে পৌঁছেছে গত নভেম্বর মাসের শুরুতেই। কিন্তু নিয়োগের পরবর্তী কার্যক্রম জরুরি ভিত্তিতে নেওয়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি ফাউন্ডেশন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন সুপারিশপ্রাপ্ত চাকরি প্রার্থী বলেন, সরকারি চাকরির বয়স পেরিয়ে তারা অর্থাভাবে অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ার এরকম দীর্ঘজটে তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এজন্য দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। তারা জানান, আমরা চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নিয়োগ প্রত্যাশা করছি। কেননা ঝুলিয়ে রেখে পরবর্তীতে নিয়োগ দেওয়া হলে আমরা জুনিয়র হয়ে যাব।
জানা যায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে উপ-পরিচালক পদ আছে ৮০টি। কিন্তু কর্মরত আছেন ১৩ জন। অন্যান্য পদেও একই অবস্থা। জেলা কার্যালয়গুলোতে উপ-পরিচালক পদ শূন্য দীর্ঘদিন ধরে। অন্যদিকে পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ বিভিন্ন পদের প্রায় ৫০ শতাংশই শূন্য দীর্ঘদিন থেকে। ফলে কাউকে উপরের পদে চলতি দায়িত্ব, কাউকে সমপদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে চালাতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।