উন্নত বিশ্বকে কার্বন নিঃসরণ কমানোয় মনোযোগ দিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মূল সমস্যা কার্বন নিঃসরণ কমানো। কিন্তু সেটি উন্নত দেশগুলো করছে না। বরং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অভিযোজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে শতভাগ অভিযোজনে যাওয়া সম্ভব না। এটা বন্ধ করে উন্নত বিশ্বকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। বৃহস্পতিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের গ্লোবাল ডায়লগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সেশনে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। সেশনে সঞ্চালনা করেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টারিয়ান ফোরামের প্রতিনিধি নীল দত্ত। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, একপক্ষ কার্বন নিঃসরণ কমাচ্ছে না, আরেকপক্ষ বলছে অভিযোজনের কথা। অভিযোজনের জন্য শুধু অর্থ নয়, দরকার আধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষতা বৃদ্ধি করা; কিন্তু সেদিকে এগিয়ে আসছে না উন্নত দেশগুলো। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় নারীদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারীরা জলবায়ু সহিষ্ণুতার স্তম্ভ, পুরুষদের তুলনায় ১৪ গুণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা আপডেট করতে হবে। মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের মাধ্যমে দুর্বলতাকে স্থিতিস্থাপকতা এবং স্থিতিস্থাপকতা সমৃদ্ধিতে রূপান্তর করতে হবে। এ সময় অর্থায়ন, প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে বাংলাদেশে জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য সরকার অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। সেশনে বক্তব্য দেন- কিরিবাতি প্রজাতন্ত্রের নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেতি, ইউএনএফপিএর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডিয়েন কিয়েটা এবং ইউএনজিও গ্লোবাল সাউথের প্রাক্তন ফোকাল পয়েন্ট এলিজাবেথ গুলুগুলুসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।