‘এই গরমে বড়রা টিকতে পারে না, বাচ্চারা কীভাবে ক্লাশ করবে’


সাদিকা রহমান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সকাল ৭টায় তার ক্লাশ শুরু হয়ে ৯টা ৪০ মিনিটে শেষ হয়েছে। ছুটি হওয়ার পর এই কোমলমতি শিক্ষার্থী বমি করে দেয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুধু সাদিকা নয়, মতিঝিল আইডিয়ালের অনেক শিক্ষার্থী গরমের মধ্যে ক্লাশ করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাদের অভিভাবকরা এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এই গরমের মধ্যে স্কুলে পাঠদান বন্ধ করে অনলাইনে ক্লাশ নিলে ভালো হয়। এই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মো. ফাইক জানায়, ক্লাশরুমে অনেক গরম। সেখানে এসি নেই, তাই ক্লাশ করতে তার অনেক কষ্ট হয়েছে। মো. ফাইকের মা বলেন, এই কদিন গরমের মধ্যে আমি তাকে বাইরে বের হতে দিইনি। আজ প্রথম ক্লাশ করেছে ও। অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছে গরমে। এই গরমে শিশুদের বমি হওয়াটা স্বাভাবিক। এখন বাসায় যাওয়ার পর তার কী অবস্থা হয় সেটি দেখার পর সিদ্ধান্ত নেব আগামীকাল স্কুলে আনব কিনা। এই অভিভাবক বলেন, আমি মনে করি করোনাভাইরাসের সময় অনলাইনে ক্লাশ হয়েছে, এখনো গরমের মধ্যে একই নিয়মে ক্লাশ হতে পারে। তার পর পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে, তখন আবার সরাসরি ক্লাশ হতে পারে। আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মনিকা দাস। তার বাবা সুব্রত দাস বলেন, এই গরমে বড়রা টিকতে পারে না। সেখানে বাচ্চারা কীভাবে ক্লাশ করবে? তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে ক্লাশ শেষে সবসময় খেলাধুলা করতে পছন্দ করে। আজ সে গরমের মধ্যে ক্লাশ করে এত ক্লান্ত বোধ করছে যে, খেলাধুলা না করে বের হয়ে পড়েছে। তাড়াতাড়ি বাসায় যাওয়ার জন্য তাড়া দিচ্ছে।