একই তারার দুই মুখ
অনলাইন নিউজ ডেক্স
এবার দেখা মিলল দুই মুখবিশিষ্ট একটি ‘তারা’র। দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন মুখের সাদা বামন তারা। শুনতে অদ্ভুত হলেও আগে কখনো দেখা যায়নি এমন দুই মুখের তারা। ১৯ জুলাই প্রকাশিত নেচার জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ খবর পাওয়া যায়। সিএনএন।
নতুন আবিষ্কৃত তারাটির রয়েছে দুটি দিক। একটি দিক হাইড্রোজেনের তৈরি। অন্যটি হিলিয়াম দিয়ে তৈরি। ডাকনাম দেওয়া হয়েছে জানুস।
রোমান দেবতার নামানুসারে এ নামকরণ করা হয়-যার দুটো মুখ ছিল। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির জ্যোতির্বিদ্যায় পোস্টডক্টরাল স্কলার রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটের প্রধান গবেষণার লেখক ইলারিয়া কাইয়াজো বলেন, ‘এ সাদা বামন তারাটির পৃষ্ঠ এক পাশ থেকে অন্যদিকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হয়।’
শক্তিশালী মহাকর্ষের প্রভাবে এর ভারী উপাদানগুলো কেন্দ্রের দিকে চলে যায়। হাইড্রোজেন বা হিলিয়ামের মতো হালকা উপাদানগুলো উপরের স্তরে উঠে যায়। তাপমাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে এর উষ্ণতম স্থানে হাইড্রোজেন বায়ুমণ্ডল থাকে। শীতল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হিলিয়াম বায়ু থাকে।
কাইয়াজো প্রতি রাতে এমন একটি যন্ত্র ব্যবহার করেছিলেন, যা প্রতি রাতে আকাশকে স্ক্যান করেছিল। কাইয়াজো ও তার দল চিমেরা নামের দ্বৈত চ্যানেলবিশিষ্ট একটি যন্ত্র ব্যবহার করেছিলেন। যন্ত্রটিতে তারার দ্বিমুখী প্রকৃতি ও গঠন প্রকাশ পায়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সাদা বামনের আলোকে বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্য আলাদা করতে একটি স্পেকট্রোমিটার ব্যবহার করেন, যা একদিকে হাইড্রোজেন ও অন্যদিকে হিলিয়ামের অস্তিত্ব প্রকাশ করে। তারাটি প্রতি ১৫ মিনিটে তার অক্ষের ওপর ঘুরতে থাকে। তারাটিতে ৬২ হাজার ৫৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা আছে বলে জানান গবেষকরা।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।