এবার সিরিয়ায় মনোযোগ চীনের


সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ দিনের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেছে ইরান ও সৌদি আরব। দুই প্রভাবশালী মুসলিম রাষ্ট্রের এই ঐক্যকে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সিরিয়া ইস্যুতে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে বেইজিং। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির এই অগ্রগতির ফলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির সুবাতাস বইছে। যদিও অনেকেই বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আধিপত্য খর্ব করার মাধ্যমে নিজের অবস্থান পাকা-পোক্ত করছে চীন। চীন ও সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ঝাই জুন দামেস্কে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সিরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধান বের করার লক্ষ্যে চীনের এই শীর্ষস্থীয় কূটনীতিক দামেস্ক সফরে গেছেন। সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ঝাও জুন শনিবার প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মিকদাদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে এসব সাক্ষাতে কী কথা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত জানানো হয়নি। সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সম্প্রতি মস্কোয় রাশিয়া, সিরিয়া, তুরস্ক ও ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও গোয়েন্দা প্রধানদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর চীনা কূটনীতিক সিরিয়া সফরে গেলেন। চীনা রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীনের সাম্প্রতিক ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। সেইসঙ্গে বর্তমান বিশ্বে চীনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভূমিকার প্রতিও সমর্থন জানান সিরীয় প্রেসিডেন্ট। এর আগে মস্কোয় অনুষ্ঠিত ওই চতুর্পক্ষীয় বৈঠকে সিরিয়ায় টেকসই শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং দেশটির শরণার্থীদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতা করার ব্যাপারে তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।