এমপির বাড়িতে গেল গরিবের ইফতার
অনলাইন নিউজ ডেক্স
অসহায় দরিদ্রদের জন্য বিতরণ করা ইফতারসামগ্রীর একটি প্যাকেট গেল স্থানীয় সংসদ-সদস্যের বাড়িতে। সেসঙ্গে ছোট্ট একটি অনুরোধ-‘আপনার প্রয়োজন হলে রাখুন, প্রয়োজন না হলে বাড়ির পাশের গরিব পরিবারটিকে দিয়ে দিন।’ শুধু সংসদ-সদস্যই নয়, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে ধনী-গরিব-সব পরিবারেই গেছে ইফতারসামগ্রীর ওই প্যাকেট। সেসঙ্গে প্রয়োজনে রাখা আর প্রয়োজন না হলে বাড়ির পাশের গরিব পরিবারটিকে দিয়ে দেওয়ার অনুরোধ। এভাবে পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ৭০ হাজার পরিবারকে ইফতারসামগ্রী দিচ্ছে মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। যার প্রতিষ্ঠাতা ওই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম।
ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় পরিবারের সংখ্যা ৭০ হাজারের কিছু বেশি। সে অনুযায়ী উপজেলার সবগুলো পরিবারেই পৌঁছানো হচ্ছে রমজানের উপহার। যার প্রতি প্যাকেটে আছে ছোলা, চিড়া, মুড়ি, দুধ, সেমাই, তেল ও মসলাসহ ১৩ রকম সামগ্রী। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হোল্ডিং নম্বর সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এই ইফতারসামগ্রী। উপজেলার প্রতিটি ঘরেই দেওয়ার কারণে মুসলিমদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের লোকজনও পাচ্ছেন এই উপহার।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম বলেন, মাহে রমজানের এই উপহার থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হয় সে জন্যই এমন আয়োজন। আমরা উপজেলার প্রতিটি ঘরে তা পাঠাচ্ছি। এক্ষেত্রে ধনী-গরিব আলাদা করা হচ্ছে না। সবার বাসায় যাবে এই ১৩ রকম ইফতারসামগ্রী। যদি কেউ মনে করেন তার এটা দরকার নেই, তাহলে তিনি তার বাড়ির পাশের দরিদ্র কোনো পরিবারকে দিয়ে দেবেন। পুরো উপজেলায় এই ইফতার বিতরণে কাজ করছেন ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। চলতি সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন হবে।
পূর্ব ভাণ্ডারিয়া গ্রামের বাসিন্দা নূরুল আলম মিলন বলেন, করোনা মহামারির সময়েও একইভাবে বাড়ি বাড়ি চাল-ডালসহ নিত্যপণ্য পাঠিয়েছিল মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। তখনকার এমপি জেপি (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বাড়িতে পর্যন্ত পৌঁছেছিল তা। তখনো সহায়তার সেই প্যাকেটে একই বার্তা লেখা ছিল। করোনার সময়জুড়ে এভাবে সহযোগিতার প্যাকেট পাঠিয়েছিল এই ফাউন্ডেশন।
পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাইজুর রশিদ খসরু তালুকদার বলেন, উদ্যোগটি এজন্য ভালো যে আমাদের আশপাশেই এমন অনেক পরিবার আছে যারা মুখ ফুটে তাদের অভাব, দারিদ্র্যের কথা বলতে পারে না। এই উপহার যেহেতু সব বাড়ি যাচ্ছে তাই তারা তাদের সম্মান অক্ষুণ্ন রেখে সহায়তা পাবে। আবার যাদের দরকার নেই তারা গরিবদের দিয়ে দেবে।
পিরোজপুর-২ (ভাণ্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) আসনের সংসদ-সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, চিকিৎসার জন্য আমি বর্তমানে থাইল্যান্ডে আছি। ভাণ্ডারিয়ায় আমার বাড়িতে ইফতারসামগ্রী পাঠানোর খবর পেয়েছি। বাড়িতে বলে দিয়েছি আশপাশের কোনো দরিদ্র পরিবারকে দিয়ে দিতে। করোনার সময়েও একইভাবে উপজেলার সব বাড়িতে সাহায্যসামগ্রী পাঠিয়েছিল এই সমাজসেবী সংস্থা। এটি অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। আগামীতেও এই ফাউন্ডেশন এভাবে মানুষের পাশে থাকবে বলে আশা করছি।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।