এরদোগানের নতুন প্রতিশ্রুতি


তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এবার একটি ‘বেসামরিক’ সংবিধান প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বুধবার রাজধানী আঙ্কারায় ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এমন কথা বলেন তিনি। আনাদুলু জানিয়েছে, এরদোগান বলেছেন, তুরস্কে একটি বেসামরিক সংবিধান প্রণয়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করব। ‘আমরা আমাদের প্রজাতন্ত্রের দ্বিতীয় শতাব্দীতে এমন একটি বিস্তৃত সংবিধান প্রণয়ন করতে চাই, যেখানে বেসামরিক ও অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে দিক-নির্দেশনা থাকবে এবং যা সকলের কাজে গ্রহণযোগ্য হবে। ১৯৮০ সালের অভ্যুত্থানের পর জান্তা সরকারের প্রণয়ন করা বর্তমান সংবিধান যুগের চাহিদায় গুরুত্বহীন বলেও মনে করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এরদোগান বলেন, গত নির্বাচনে আমাদের দেশকে পুরনো ব্যবস্থা অর্থাৎ সংসদীয় পদ্ধতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে কথা বলা হচ্ছিল, তা প্রত্যাখ্যান করেছে তুর্কি জাতি। ২০১৭ সালে এক গণভোটে দেশটিতে রাষ্ট্রপতি-শাসিত ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। গত ২৮ মে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর এরদোগান বলেছিলেন, তিনি প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে তুর্কি রিপাবলিক অফ নর্দার্ন সাইপ্রাস এবং আজারবাইজান সফর করবেন। সে প্রসঙ্গে এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, আমরা তুর্কি সাইপ্রিয়টদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাব, তারা তুর্কি জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা কখনই আমাদের দেশ বা তুর্কি সাইপ্রিয়টদের অধিকার হরণ করতে দেব না। আজারবাইজানের বিষয়ে এরদোগান বলেন, আজারবাইজানীয় প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সাথে আলোচনার সময় তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেড় হাজার কোটি ডলার করার সাধারণ লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। এ ছাড়া তুরস্ক ও আজারবাইজান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাও অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। পাশাপাশি আর্মেনিয়ার সাথে চলমান স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়ায় আমাদের সমর্থনের উপরও আমরা জোর দিয়েছি।