‘ওই পাড়াটা বিএনপির, ওইঠে উন্নয়ন করা যাবেনি’


জনপ্রতিনিধি হলো জনগণের চাকর, জনগণের সেবক। জনগণের সেবা করতে হবে। তবে আজ যারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন, তারা মনে করেন আমাকে ভোট দিয়েছে ৬০ হাজার লোক কিংবা ৭০ হাজার লোক। ওই লোকগুলা মোক (আমাকে) ভোট দিছে ওই লোকটা মোক ভোট দেয়নি। ওর কাম করা যাবেনি। ওই পাড়াটা হামার (আমাদের) আওয়ামী লীগের, এইটার ভোট পাইছি। ওই পাড়াটা হচ্ছে বিএনপির। ওখানে উন্নয়ন করা যাবেনি। ওইটা কাঁচা রাস্তা, সেইটা পাকা করা যাবেনি। এটাই হলো আমাদের নেতাদের চরিত্র!’ বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব কথা বলেন কামরুল হাসান খোকন। কামারুল হাসান খোকন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলেন। এখন তিনি ঠাকুরগাঁও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী; তার ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে। কামরুল হাসান বলেন, এটা হলো ঠাকুরগাঁওয়ের অবস্থা। তিনি মনে করেন, যখন কেউ ভোটে জয়ী হন। তখন তাকে মনে করা উচিত, আমি শুধু ৪০ হাজার বা ৫০ হাজার ভোটারের প্রতিনিধি নয়। ৪ লাখ ৬৫ হাজার ভোটারের প্রতিনিধি। সব কিছু রাজনৈতিক বিবেচনায় নিলে হবে না। ভাবতে হবে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ভোটারের প্রতিনিধি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের উদ্দেশে কামরুল বলেন, জনপ্রতিনিধিরা চেয়ারের জন্য ৩ কোটি টাকা খরচ করছেন; কিন্তু এই টাকা তারা জনগণের সেবার জন্য করছেন না। একবার চেয়ারে বসতে পারলে ৫০ কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছেন। এত টাকা কেন খরচ করছেন তারা? এত শখ এত টাকা খরচ করে জনগণের সেবা করার। আসলে তা নয়, ওই চেয়ারটাতে বসলেই ৫০ কোটি টাকার মালিক এই আশায়। এজন্য আমাদের নেতারা নির্বাচনে দুই-তিন কোটি টাকা খরচ করছেন। কামরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইন্দ্রনাথ বলেন, সে অনেকটা হতাশাগ্রস্ত। তবে তার এ ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত বলে মনে করেন।