ওখানে হারিয়েছে, এখানেও হারায় কিনা দেখব: হিরো আলম
অনলাইন নিউজ ডেক্স
চিত্রনায়ক ফারুকের আসনে (ঢাকা-১৭) উপনির্বাচন আগামী ১৭ জুলাই। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বগুড়া সদর ও কাহালু-নন্দীগ্রাম দুটি আসন থেকে হেরে গেছেন তিনি। আবারো ঢাকায় নির্বাচন করছেন। এর নেপথ্যে বিএনপি বা অন্য কেউ কি আছেন? গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে নির্বাচন ঘিরে দানা বাঁধছে নানা প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের জবাব দিতেই গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হন হিরো আলম।
হিরো আলম বলেন, বগুড়ার দুটি আসন থেকে নয়ছয় করে আমাকে হারানো হয়েছে। এখানে প্রতিবাদের মশাল হিসেবে আমি ভোট করছি। আমি ভোটে জিতে কেন ক্ষমতা বুঝে পেলাম না! এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমি এখানেও ভোট করছি। ওরা ওখানে (বগুড়া) হারিয়েছে, এখানেও হারায় কিনা, আমি দেখব।
তিনি বলেন, জনগণ যদি আমাকে ভালোবাসে এখানেও ভোট দেবে এবং আমাকে এখানেও পাশ করাবে। একটা কথা বলতে পারি, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এখানেও জয়লাভ করব ইনশাআল্লাহ।
হিরো আলম বলেন, আমি আগেও বলেছি, আবারো বলছি- আমি শুরু থেকে একাই লড়াই-সংগ্রাম করছি। এখন পর্যন্ত আমার পেছনে কেউ নেই। ভবিষ্যতে যদি আমি কোনো দলে যোগ দেই তাহলে বুঝবেন কেউ আমার পেছনে আছে। যেহেতু আমি স্বতন্ত্রপ্রার্থী, বিএনপি বা অন্য কোনো দল আমার সঙ্গে যুক্ত নেই।
তিনি বলেন, কিছু দিন আগে গাজীপুরে নির্বাচন হয়েছে (গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন), সেই নির্বাচনে আমি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখেছি। দেখে মনে হয়েছে, ঢাকা শহরেও সুষ্ঠু নির্বাচন পাব। আর বরিশালের মতো নির্বাচন যদি ঢাকা শহরে হয় তাহলে এখানে আমি জিততে পারব না।
বিএনপির ভোট আপনি পাবেন কিনা- জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, এটা ভোটারদের মনের বিষয়। বিএনপি এবং অন্যান্য যে দলগুলো আছে, তারা আমাকে ভোট দেবে কিনা- এটা একান্ত নিজস্ব বিষয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেন হিরো আলম। তিনি বগুড়া-৬ আসনে অনেক ভোটে হারলেও বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদের প্রার্থীর কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হন।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।