ক‌রোনার নতুন ধরন রো‌ধে জাতীয় পরামর্শক কমিটির চার সুপারিশ


বি‌শ্বের বেশ ক‌য়েক‌টি দে‌শে ক‌রোনাভাইরাসের নতুন ধ‌রন (ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১) শনাক্ত হওয়ায় বাংলা‌দেশ‌কে সতর্ক কর‌ছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। রোববার রা‌তে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভায় নতুন ধরন রো‌ধে চার‌টি সুপা‌রিশ করা হয়। জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষ‌রিত এক বিজ্ঞ‌প্তি‌তে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ক‌রে‌ছে ক‌মি‌টি।‌‌ পরামর্শে বলা হয়েছে, বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর এই ভ্যারিয়েন্ট বৃদ্ধি পর্য‌বেক্ষণ ক‌রে‌ছে। ত‌বে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে এবং ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হয়নি। এর প্রেক্ষিতে মাস্ক পরাসহ কোভিড প্রতিরোধে অন্যান্য জনস্বাস্থ‌্যমূ‌লক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিশেষ করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থা‌নে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদেরকে সতকর্তা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করতে হ‌বে। মাস্ক কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটা সহায়ক হবে। সংক্রমণ পরিস্থি‌তি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক রিপোর্ট পর্যালোচনা ও দেশে সার্ভিলেন্স জোরদার করতে হ‌বে। এজন‌্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরকে ভূ‌মিকা রাখ‌তে হবে। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সকল প্রস্তু‌তি রাখতে হ‌বে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং কর‌তে হ‌বে। কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করে কমিটি। বিশ্ব স্বাস্থ‌্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার ব‌্যবস্থা কর‌তে হ‌বে। সার্জারি অথবা অন্য কোন রোগের চিকিৎসার আগে রোগীর ক‌রোনাভাইরাস উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দি‌লে কোভিড পরীক্ষা কর‌তে হ‌বে।

সর্বশেষ :