কলারোয়ায় পুর্বশত্রুতার জেরে পটল ক্ষেতে পোড়া বিষ দিয়ে লাখ টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ


সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পুর্বশত্রুতার জের ধরে ১০কাটা জমিতে লাগানো পটল ক্ষেতে পোড়া (ফিল্টার) ছিটিয়ে ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে-উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের নাথিপুর মাঠপাড়া এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত চাষী ওই এলাকার কুরবান আলী সরদার জানান-তিনি একজন অতি গরীব মানুষ, চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বাড়ীর পাশে মাঠে এলাকার জয়নাল গাজীর নিকট থেকে ১০কাটা জমি বছরে ৮হাজার টাকায় হারি নেন। সেই জমিতে রাত দিন খেটে পট চাষ করেন। হঠাৎ পুর্বশত্রæতার জের ধরে ওই এলাকার ছফিরউদ্দিন (ফিল্টার) দিয়ে তার পটল ক্ষেতে স্প্রে করে দেয়। এতে পটল ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। এলাকার লোকজনের উপস্থিত টের পেয়ে ছফিরউদ্দীন তার স্প্রে করা মেশিন বাগানে ফেলে পালিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত কুরবান আলী সরদার আরো জানান-তার পটল ক্ষেতে ফিল্টার স্প্রে করায় প্রায় এক লাখ টাকার পটলের ক্ষতি সাধন হয়েছে। তিনি তার ক্ষতিপুরনের বাদীতে উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কলারোয়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে ৫০জনকে পুরস্কৃত জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: “প্রাণীসম্পদে সমৃদ্ধ দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৩ উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলারোয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের বাস্তবায়নে শনিবার সকালে প্রাণিসম্পদ চত্বরে ওই প্রদর্শনীর সমাপনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীতে অংশ গ্রহণকারি বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে উপজেলা নিবার্হী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন-উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ সাইফুল ইসলাম। এসময় অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন-পৌরসভার মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাহমিনা সুলতানা নীলা, খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: লুৎফর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানাজ নাজনীন খুকু, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী, কৃত্রিম প্রজনন আতাউর রহমান, সম্প্রসারণ অফিসার সজল কুমার দাস প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন-উপ.সহকারী প্রাণিসম্পদ অফিসার সুদাম নন্দী। সমাপনি অনুষ্ঠানে ১০জন বিভিন্ন জাতের গরু খামারী, ১২জন বিভিন্ন প্রজাতীর হাস, মুরগী, কবুতর ও সৌখিন পাখির খামারী। ৯জন বিভিন্ন জাতের ছাগল, ভেড়া, গাড়োল, কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তি, বিভিন্ন ধরনের ঘাস ও বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর প্রদর্শনী স্টলকে পুরুস্কৃত করা হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ সাইফুল ইসলাম বলেন-বিভিন্ন ক্যোটাগরি ভিত্তিক সর্বমোট ৫০জনকে এবার পুরস্কৃত করা হয়েছে।