কেন্দুয়ায় জায়গা নিয়ে বিরোধে উপড়ে ফেলা হল অর্ধশত গাছ


জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এক ব্যক্তির বসত বাড়িতে থাকা সুপারী গাছসহ অর্ধশত গাছ উপড়ে ফেলেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। উপজেলার রোয়াইল বাড়ি আমতলা ইউনিয়নের সহিলাটি গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনাটি। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরজমিনে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তাজুল ইসলামের মেয়ে হেনা আক্তার প্রতিপক্ষের ৫ জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও উভয়পক্ষের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সহিলাটি গ্রামের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম গত ২৮ বছর আগে একই গ্রামের হোসেন আলীর কাছ থেকে ১৭ শতাংশ, তার বোন জাহেরা খাতুন ও সাহেরা খাতুনের কাছ থেকে ৫ শতাংশ এবং একই এলাকার জাহেদুল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে একই দাগে আরও ১০ শতাংশ জায়গা কিনে বসত বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি জাহেরা খাতুনের ছেলে লেহাজ উদ্দিন ও তাদের লোকজন এলাকায় প্রচার করে যে, তাজুল ইসলামের জায়গায় তাদেরও অংশ রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ দরবারও হয়। সালিশকারীরা লেহাজ উদ্দিন গংদের তাজুল ইসলামের জায়গায় যেতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে লেহাজ ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে লেহাজ উদ্দিন ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে তাজুল ইসলামের বাড়ির আঙিনায় প্রবেশ করে অন্তত অর্ধশত সুপারী ও মেহগনি গাছ উপড়ে এবং কেটে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ সময় তাজুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার নিষেধ করলে তারা তাকে মারধর করে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় এবং যাওয়ার সময় কেটে ফেলা মেহগনি গাছগুলো নিয়ে যায়। তাজুল ইসলাম জানান, সাফকাওলা দলিল মূলে জায়গা কিনে আমি বাড়ি করে বসবাস করে আসছি। কিন্তু এখন আমার এখানে তাদের জায়গা আছে বলে দাবি করছে লেহাজ উদ্দিন। তারা আমার জায়গা দখল করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। বাড়ির আঙিনায় থাকা ৫০টির মতো সুপারী ও মেহগনি গাছ উপড়ে ও কেটে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এখন তারা আমার জায়গায় ঘর নির্মাণ করার জন্য ইট-বালু এনেছে। আমরা নিরীহ মানুষ। যেকোনো সময় লেহাজ উদ্দিন তার লোকজন নিয়ে আমার জায়গা দখল নিতে পারে। তাই আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি তাদের সঠিক বিচার চাই। গাছ উপড়ে ফেলার বিষয়টি স্বীকার করে লেহাজ উদ্দিন বলেন, তাজুল ইসলামের জায়গায় আমার মায়ের নামেও জায়গা আছে। আমাদের জায়গাটি পরিস্কার করে দিতে তাজুল ইসলামকে অনেক দিন ধরে বলছি। কিন্তু তিনি তা না করায় আমরাই আমাদের জায়গা পরিস্কার করেছি। কারণ, এখানে আমরা ঘর করব। এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য পেমই পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।