কোরিয়ায় কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠলো ‘হ্যাপিনেস ফ্যাক্টরি’
অনলাইন নিউজ ডেক্স
প্রযুক্তি যেমন আশির্বাদ, ঠিক ততটাই ভয়ঙ্কর মূর্তি ধারণ করেছে এই সময়ে। একটা সময় আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া পেতে মানুষ কিনা করেছে। কিন্তু এখন তার বিপরীত চিত্র ফুটে উঠেছে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে।
যেখানে একেবারেই ব্যতিক্রমী নজির দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রযুক্তির কাছে মানুষ নিজেদের বিকিয়ে দিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। আর সেখান থেকে বের হতে অভিনব উপায় বের করেছে দেশটি।
দক্ষিণ কোরিয়া চালু করেছে ‘হ্যাপিনেস ফ্যাক্টরি’। একটি বিশেষ আবদ্ধরুমে তারা নিজেদের বাইরের জগৎ থেকে আলাদা করে ফেলছে। অবাক করার মতো হলেও সত্যি, এই কক্ষে স্রেফ একটি ছিদ্র দিয়ে বাইরের বিশ্বটাকে দেখার সুযোগ মিলে।
‘হ্যাপিনেস ফ্যাক্টরি’র বিশেষত্ব কী?
এই কক্ষে বসবাসকারীদের নেই ইলেকট্রনিক ডিভাইস। ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল ফোন তো দূরের কথা, নেই কোনো ইন্টারনেট সংযোগ। দেখলে মনে এটি স্টোররুমের একটি আলমারির মতো। যেখানে কক্ষের দেয়াল ছাড়া মানুষের সঙ্গী বলতে কিছু নেই।
এই কক্ষে যারা থাকেন, তাদের জন্য রয়েছে নীল রংয়ের বিশেষ ইউনিফর্ম। ভাবছেন কারাগার কিংবা থিয়েটার ল্যাব? না আদতে তা নয়। বাইরের জগৎ এবং প্রযুক্তি থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন রাখতে জনপ্রিয়তা বাড়ছে এই ‘হ্যাপিনেস ফ্যাক্টরির’।
কীভাবে এলো এই ‘হ্যাপিনেস ফ্যাক্টরি’
১৯৯০ এর দশকে জাপানে কিশোর এবং তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার এক প্রবল আগ্রহ দেখা দেয়। সেখানে বন্দি থাকা যুবকদের বলা হয়ে থাকে ‘হিকিকোমোরি’। মোটামুটি এরপর থেকে পরিচিতি বাড়তে থাকে ‘হ্যাপিনেস ফ্যাক্টরির’।
কী বলছে জরিপ?
গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৫ হাজার মানুষের এক জরিপ পরিচালনা করে। যাদের সবার বয়স ১৯ থেকে ৩৪ বছর ছিল। জরিপে অন্তত ৫ শতাংশের বেশি মানুষ নিজেদের বিচ্ছিন্ন রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। যদি এই জরিপটি গোটা দেশের মধ্যে করা হতো, তাহলে অন্তত ৫ লাখ ৪০ হাজার মানুষ বিচ্ছিন্ন থাকা থাকার পক্ষে থাকতো।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।