খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি সমবায়কে আন্দোলনে রূপ দিতে হবে


খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য কৃষি সমবায়কে আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ও জাতীয় কিষানি শ্রমিক সমিতির উদ্যোগে ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কৃষি সমবায়ের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। এ সময় তারা বলেন, কৃষি সমবায় খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের ক্ষেত্রে অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। এ সমবায় ক্ষুদ্র কৃষকদের আয়, যৌথ দর কষাকষির ক্ষমতা এবং বাজারের সঙ্গে যোগসূত্র বৃদ্ধি করে খাদ্যের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পারে এবং কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের জন্য আরও ভালো দাম নিশ্চিত করতে পারে। সংবিধানে সমবায়ের গুরুত্ব দেওয়া হলেও বাস্তবে গুরুত্বহীন করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার প্রবণতা ক্রমবর্ধমান। কৃষি খাতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় কৃষি ভর্তুকি বাড়িয়ে কৃষি সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান; কৃষিজমি অকৃষি খাতে চলে যাওয়া বন্ধ করা এবং কৃষি খাতে আরও বেশি সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর মতো সরকারি সদিচ্ছা এবং কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। জাতীয় কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে ও আইইউএফ এশিয়া প্যাসিফিক ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর নাসরিন সুলতানার সঞ্চালনায় সেমিনারে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ছরোয়ার। সভায় আরও বক্তৃতা করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন প্রমুখ। সেমিনারে কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সদ্য প্রয়াত সভাপতি আব্দুল মজিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।