গজারিয়ায় চাদাঁর টাকায় নির্মিত কাঠের পুল এখন ঝুঁকিপূর্ণ, বিপাকে গ্রামবাসী।
অনলাইন নিউজ ডেক্স
দুই বছর আগে গ্রামবাসী চাদাঁ দিয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের ভাষারচর গ্রামে খালের উপরে নির্মাণ করেছিল একটি কাঠের পুল। মানুষের চলাচলে একমাত্র ভরসা এ পুলটি এখোন নড়বড়ে হয়ে পরেছে। সংস্কারের অভাবে পুলটি এখোন এতোটাই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরেছে যে পুলটিতে এখন কেউ চললে মনে হয় যেনো পরে যাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ পুলটি দিয়েই প্রতিনিয়ত পার হয় স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণির লোকজন।আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাষারচর গ্রামের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ার সংযোগস্থল মেঘনা নদীর সাথে সংযোগ খালের উপর নির্মিত এই কাঠের পুলটি। সংস্কারের অভাবে পুলটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। বিকল্প চলাচলের ব্যাবস্থা না থাকায় বিপজ্জনক এ পথ মাড়িয়েই চলতে হয় গ্রামবাসীকে। এ খালের উপর পাকা সেতু গ্রামবাসীর দির্ঘদিনের স্বপ্ন । ব্রিজের অভাবে যেনো থমকে আছে ভাষারচর গ্রামবাসীর সেই স্বপ্ন। এলাকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজভাবে পরিবহন করে বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা।স্থানীয়রা জানান, মেঘনা নদীর সাথে সংযোগ এ খাল আগে নৌকা পারি দিয়ে পার হতো তারা। দুই বছর আগে গ্রাম থেকে চাঁদা তুলে কাঠ দিয়ে পুলটি তৈরি করা হয়। এখন মেরামত না করায় পুলটি ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়ছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি এখানে একটি স্থায়ী পাকা সেতু নির্মাণের। এখানে ব্রিজ নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটবে। সেই সাথে ছাত্র ছাত্রীসহ এলাকার জনসাধারণ যোগাযোগের সুফল পাবে।তৈয়ব আলী বলেন, আগে নৌকায় এ খাল দিয়ে পার হতাম। দূর্ভোগ কমানোর জন্য কাঠ দিয়ে সেতু নির্মাণ করেছিলাম কিন্তু দুই বছরেই সেতুটি একেবারে নড়েবড়ে হয়ে পারেছে। একটি পাকা সেতু হলে আমরা আমাদের গ্রাম হতে স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারতাম।মান্নান মুন্সি বলেন, নির্বাচন এলে গ্রামে নেতারা আসে । তাদের কতবার বললাম গ্রামে একটি ব্রীজ করে দিতে। নির্বাচন এলেই কয় করে দিমু । তারপরে আর কেউ খোঁজ নেয়না।এ বিষয়ে ভাষারচর গ্রামের, আব্দুল হক বলেন, ছেলে মেয়েদের স্কুলে যেতে এবং অসুস্থ মানুষকে গ্রাম হতে চিকিৎসার জন্য নিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। বহুদিন ধরে খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসছি চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে। কিন্তু তাঁদের দাবি আজও পূরণ হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল ঢালী বলেন, গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা গর্ভবতীদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রায়ই ছোট খাটো দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এ বছর পুল থেকে পরে ২জনের পা ভেঙেছে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি। এই দাবি বাস্তবায়িত না হওয়ায় এলাকা বাসীকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এ ব্যাপারে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ওইস্থানে ব্রীজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিস্ট বিভিন্ন যায়গায় অবহিত করেছি, আশ্বাসও পেয়েছি। এটি বাস্তবায়িত হলে এলাকাবাসী তাঁদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।