গাজী টায়ার আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ ১২০


জনগণের ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে গাজী টায়ার কারখানা। এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় কারখানায় আগুন দিল বিক্ষুব্ধ জনতা। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রূপসী গাজী টায়ার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। রাত থেকেই কারখানায় চলছে লুটপাট। এদিকে কারখানায় লুটপাট করতে আসা এ পর্যন্ত ১২০ জন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে বাড়তে পারে বলে স্থানীয়রা জানান। জানা গেছে, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর রূপগঞ্জের গোলাম দস্তগীর গাজী পালিয়ে যান। গত ৫ আগস্ট রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা ও ভুক্তভোগীরা রূপসীর গাজী টায়ার কারখানায় আগুন দেয়। এর পর টানা ধরে লুটেরা গাজীর কারখানায় জনতা লুটপাট চালায়। এদিকে, শনিবার রাতে গোলাম দস্তগীর গাজীকে ঢাকার শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। রোববার বিকালে গাজীর ফাঁসির দাবিতে রূপগঞ্জের বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। গাজী গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা রূপগঞ্জের জনতা গাজী টায়ার কারখানায় আগুন দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুনের জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। রূপসী এলাকার সেলিম আহম্মেদ জানান, এটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে রূপগঞ্জে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাড়খার করে ফেলেছে গাজী ও তার লোকজন। খাদুন এলাকার একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাগো আড়াই বিঘা জমি দহল কইরা নিছে এই গাজী। আল্লায় বিচার করছে। অনেক মাইনসের ক্ষতি করছে এ গাজী। এদিকে লুটপাট করতে এসে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে তাদের স্বজনরা কারখানার সামনে আহাজারি করে বলেছে।