চৌদ্দগ্রামে আ.লীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ
অনলাইন নিউজ ডেক্স
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পূর্বঘোষিত কর্মসূচীতে কেন্দ্র করে সংসদ সদস্য মুজিবুল হক অনুসারী ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়েছে।
উপজেলার চৌদ্দগ্রাম বাজার অংশে মঙ্গলবার সকালে উভয় গ্রুপ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় মহাসড়কের একাধিক গাড়িতে আগুনসহ ভাংচুর করা হয়। ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে সাংসদ গ্রুপের সভামঞ্চ।
এতে এএসআই শামিমসহ আহত হয়েছে মুজিবুল হক গ্রুপের ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম ফরহাদ, যুবলীগ নেতা আবুল হাশেম মজুমদার, লিমন চৌধুরী এবং সাবেক মেয়র মিজান গ্রুপের পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি মনসুর আজাদ, যুবলীগ নেতা ফরাশউদ্দিন রিপন, অজ্ঞাত সিএনজি চালকসহ অন্তত ১০জন। বর্তমানে চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সংঘর্ষের কারণে সকাল থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এসপি সার্কেল জাহিদুল ইসলাম এবং চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভরঞ্জন চাকমার নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি টিম ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার অংশে অবস্থান নিয়েছে। জানা যায়, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য এবং প্রধামন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আ’লীগের মুজিবুল হকপন্থি উপজেলা আ’লীগ মঙ্গলবার সকালে মিয়াবাজার তাজমহলে, চৌদ্দগ্রাম সদরে, বাতিসা এবং চিওড়া এলাকায় সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
এর আগে মুজিবুল হক বিরোধী সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসগড়কে রোড শো’র জন্য প্রশাসন বরাবরে অনুমতির দরখাস্ত করে।
মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯টায় চৌদ্দগ্রাম বাজারের সরকারী হাসপাতালের সামনে সাংসদ মুজিবুল হকের সভামঞ্চ ভাংচুর করলে মুজিবুল হকের অনুসারী নেতাকর্মী এবং সাবেক মেয়র গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িতে পড়ে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।