চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে মরিয়া গার্দিওলা


ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে আজ সাবেক ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ম্যানচেস্টার সিটি বস পেপ গার্দিওলা। বার্সেলোনা ছাড়ার পর ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত বায়ার্নের কোচ ছিলেন তিনি। সেখান থেকে যোগ দিয়েছেন ম্যানসিটিতে। তবে দুই ক্লাবই তাঁকে দলে টেনেছিল মূলত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের আশায়। কিন্তু বায়ার্নকে হ্যাটট্রিক লিগ শিরোপা জেতালেও ইউরোপসেরা বানাতে পারেননি। সিটিতেও একই অবস্থা। তিনি কেবল বার্সার হয়ে ২০০৮-০৯ ও ২০১০-১১ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন। তবে এবার কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন বাধা পার হতে পারলে সিটির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের সম্ভাবনা প্রবল। আজ ঘরের মাঠে প্রথম লেগে এগিয়ে যেতে পারলে কাজটা সহজ হয়ে যাবে সিটির। শেষ আটে বায়ার্নকে পাওয়ায় অনেকে এখন সিটির জন্য সুবর্ণ সুযোগ হিসেবেও দেখছেন। কারণ, গত মাসে জুলিয়ান নাগলেশমান বরখাস্ত হওয়ার পর মাত্র বায়ার্নে যোগ দিয়েছেন টমাস টুখেল। দলকে সামলে নেওয়ার জন্য নতুন কোচের সামান্য সময় তো লাগারই কথা। বায়ার্নের এই অগোছাল অবস্থাটা কাজে লাগানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে সিটি। তবে টমাস টুখেল সদ্য বায়ার্নের দায়িত্ব নিলেও সিটি কিন্তু তাঁর পরিচিত প্রতিপক্ষ। কোচ হিসেবে এখন পর্যন্ত ১১ বার গার্দিওলার মুখোমুখি হয়েছেন টুখেল। এর মধ্যে ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তাঁর অধীনে চেলসি ১-০ গোলে হারিয়েছিল সিটিকে। এর মাসখানেক আগে এফএ কাপের সেমিতে ১-০ গোলে সিটিকে নকআউট করে দিয়েছিল টুখেলের চেলসি। যদিও এর পর ২০২১-২২ মৌসুমে লিগে চেলসিকে দু’বার ১-০ গোলে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছিলেন গার্দিওলা। তাই আজ বেশ জমজমাট লড়াই হবে। সাত মৌসুম ধরে সিটিতে আছেন গার্দিওলা। এর মধ্যে পাঁচবার লিগ শিরোপা জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অধরা। তাই ইউরোপসেরা হওয়ার জন্য স্প্যানিশ এ কোচের ওপর চাপটা ক্রমেই বাড়ছে। কয়দিন আগে গার্দিওলা নিজেই স্বীকার করেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দিয়েই আসলে সফলতা-ব্যর্থতার হিসাব হবে। এবার আর্লিং হালান্ড থাকায় সম্ভবত চাপটা সিটি বসের ওপর আরও বেড়ে গেছে। চোট থেকে উঠে গত শনিবার লিগে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন হালান্ড। চলতি মৌসুমে তাঁর গোল সংখ্যা ৪৪। নরওয়েজিয়ান এ স্ট্রাইকার কি পারবেন গার্দিওলার বাজির ঘোড়া হতে!