জীবন থাকতে আ.লীগের রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে দেব না : উপদেষ্টা নাহিদ
অনলাইন নিউজ ডেক্স
বেচেঁ থাকতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুন:প্রতিষ্ঠা করতে দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে গণঅভ্যুত্থানের সরকার, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন জাবি শাখার আয়োজনে এ সংলাপে নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা এটা নিয়ে এখন বিতর্ক হচ্ছে। আপনি যখন আওয়ামী লীগকে একটি ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল বলছেন তখন প্রশ্ন আসে ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক কাঠামোতে কীভাবে রাজনীতি করতে পারে? যদি আওয়ামী লীগ ফিরে আসে তাহলে গণঅভ্যুত্থান ও শহীদদের সাথে প্রতারণা করা হবে। আমাদের জীবন থাকতে তা হতে দেওয়া হবে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর অন্তর্বর্তীকালীন নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর অন্তবর্তীকালীন সরকার এক নয়। এক এগারোর তত্ত্বাবাধয়ক সরকার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছিল। তাদেরকে ফ্যাসিস্ট বানানোর সুযোগ করে দিয়েছিল যোগ করেন তিনি। এসময় রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকাকে সাংবিধানিক নয় বরং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলেও তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ণ ফরজে আইন হয়ে গেছে। পুরনো সংবিধান বাতিল করার জন্য সংবিধানের ৭ (বি) অনুচ্ছেদ যথেষ্ট।
বাহাত্তরের সংবিধান বাতিলের পক্ষে কথা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আরিফ সোহেল। মুক্তিযুদ্ধের পর ভারতে পালিয়ে থাকা অনেক নেতা দেশে ফিরে সংবিধান প্রনয়ণে অংশ নেন। কিন্তু তারা বাংলাদেশের নয় বরং পাকিস্তানের সংবিধান রচনার জন্য উপযুক্ত ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। সংবিধান বাতিলের এটাও একটা কারণ যে, আওয়ামী লীগ জনগণের কনসেনশাস নিয়ে এ সংবিধান প্রণয়ন করেনি।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার পতনকে গণঅভ্যুত্থান অভিহিত করেছেন সংবিধান সংস্কার কমিটির অন্যতম সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদুর রহমান। এ ছাড়াও সংবিধান পুনর্লিখন করার বিরোধিতা করেন তিনি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান সংস্কার প্রক্রিয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এবার না হলে আর সম্ভব নয়। তবে এ সংস্কার প্রক্রিয়ার মূল ফল হবে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান রাষ্ট্রের সংস্কারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার করা হবে বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মুশফিকুস সালেহীনের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক সোহেল আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব প্রমুখ।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।