টঙ্গিবাড়ীতে ইউপি সদস্য বিক্রি করছেন অবাধে কৃষি জমির মাটি।


মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পশ্চিম কামাড়খাড়া গ্রামে ৪/৫ একর কৃষি জমি মাটি কেটে অবাধে বিক্রি চলছে। কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মামুন পেয়াদা এ মাটি কেটে ট্রলিতে ভরে ও ড্রেজার পাইপ দিয়ে বিভিন্নস্থানে বিক্রি করছেন। ট্রলিতে ভরে এ সমস্ত মাটি বিক্রি করতে গিয়ে সরকারী কাচা রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে চলেছেন তিনি। এছাড়া তিনি একই স্থান হতে ড্রেজার বসিয়ে গত ৫/৬মাস যাবৎ মাটি কেটে ওই এলাকার বিভিন্ন কৃষি জমি টাকার বিনিময়ে ভরাট করছেন।স্থানীয়রা বলেন, মামুন পেয়াদা তার নিজ বাড়ির সামনের বিস্তির্ণ কৃষি জমির মাটি ড্রেজার বসিয়ে ও বেকু দিয়ে কেটে বিক্রি করে চলেছেন। গত বছরও ওই জমিগুলোতে আলুসহ বিভিন্ন সব্জি আবাদ করা হয়েছিল। গতবছর আলু উত্তোলনের পর হতে মাটি বিক্রি শুরু করে সে যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ওই এলাকার বিস্তির্ণ কৃষি জমির পূর্ব পাশের অংশে মাটি কর্তনের ফলে এখোন ওই স্থানে বিশাল পুকুর আকার ধারণ করেছে। ওই পুকুরের মধ্যে এখনোও চলছে ৩টি ড্রেজার। যেগুলোর মাধ্যমে উপজেলার বেসনাল ও বাঘিয়া এলাকায় কৃষি জমি ভরাট করছেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে গত ৫/৬ মাসে তিনি তার কৃষি জমি হতে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি নিয়ে উপজেলার কামারখাড়া, বেসনাল, বাঘিয়া, যশলং এলাকায় কয়েক একর কৃষি জমি টাকার বিনিময়ে ভরাট করেছেন। ওই পুকুরের পশ্চিম পাশের কৃষি জমিতে বর্তমানে বেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রলিতে ভরে ওই মাটি বিভিন্নস্থানে বিক্রি করছে সে। স্থাণীয়রা বলেন উপরের মাটি বিক্রির পরে সে নিচের মাটিগুলো ড্রেজার বসিয়ে বিক্রি করবেন।আজ বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পশ্চিম কামারখাড়া গ্রামের বিস্তির্ণ কৃষি জমির মাটি বেকু দিয়ে কেটে ও ড্রেজার বসিয়ে অবাধে বিক্রি চলছে। এই মাটি বহন করতে গিয়ে পাশের সরকারী কাচাঁ রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে চলেছে সে। এছাড়া ৩টি ড্রেজার (খনণ যন্ত্র) বসিয়ে প্রায় ৫/৬ মাস যাবৎ মাটি বিক্রি করার কারনে তার ড্রেজার দিয়ে কাটা জমির আসেপাশের  মাটি ভেঙ্গে পরছে। এতে স্থাণীয়দের মনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থাণীয়দের অভিযোগ কৃষি জমিতে কখনো দুইটি কখনো ৩টি ড্রেজার বসিয়ে মাটি বিক্রি করছে মামুন পেয়াদা। এ ছাড়াও কৃষি জমির উপরের অংশের মাটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলি ও  ট্রাকে ভরে বিভিন্নস্থানে বিক্রি করছে সে। উপরের মাটি বিক্রির পরে ওই স্থানে খণন যন্ত্র ড্রেজার বসিয়ে পরে মামুন পেয়াদা নিচের মাটি বিক্রি করে চলেছেন। এ ব্যাপারে ওই এলাকার সিরাজ মিয়া (৭০)দৈনিক ডোনেট  বাংলাদেশ কে  বলেন, মামুন পেয়াদা  ৫/৬ মাস যাবত ড্রেজার বসিয়ে মাটি বিক্রি কাটছে। এখোন আবার বেকু দিয়ে মাটি কাটছে সে। সে যে জমি হতে মাটি কাটতেছে ওই জামিতে আগে চাষাবাদ হতো। ওই স্থানে কাজ করতে থাকা মামুন পেয়াদার শ্রমিক সোহেল বলেন, ড্রেজার দিয়ে মাটি মামুন পেয়েদা কাটতেছে। মাটি কেটে সে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতাছে। আমরা তার শ্রমিক তার হুকুমে আমরা কাজ করতেছি। অপর শ্রমিক বাবুল মিয়া বলেন , আমি দেড় মাস যাবুৎ মেম্বার মামুন পেয়েদার কাজ করতেছি। সে জমির মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মামুন পেয়াদা মাটি কাটার বিষয়ে সত্যত্বা স্বীকার করে দৈনিক ডোনেট  বাংলাদেশ কে বলেন আমি আমার জমি হতে মাটি কাটতেছি।এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী সহকারী কমিশনার ভূমি  রেজওয়ানা আফরিন দৈনিক ডোনেট  বাংলাদেশ কে বলেন, আমি স্থাণীয় তহসিলদারকে পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।