ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের কাজ এখনো শুরু হয়নি: আইনমন্ত্রী


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশকিছু ধারায় সংশোধন আনার চিন্তা করছে সরকার। আইনের খসড়া সংশোধনীর প্রস্তাব তৈরি করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়। তবে কোন কোন ধারায় সংশোধনী আনা হচ্ছে তা এখনো জানা যায়নি। আইন ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কেউ এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনটির কিছু ধারা সংশোধন হবে, কাজ এখনো শুরু হয়নি। এদিকে আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনের কাজটি শুরু করবে সংশ্লিষ্ট (আইসিটি) মন্ত্রণালয়। তারপর সেটি যাবে কেবিনেটে। সেখান থেকে বেটিংয়ের জন্য যাবে আইন মন্ত্রণালয়ে। আইন মন্ত্রণালয়ে সেটির খুঁটিনাটি বিষয় পরীক্ষা করে পাঠাবে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে। তারপর কেবিনেট হয়ে পরে যাবে জাতীয় সংসদে। আইনটি প্রণয়নের পর থেকেই এর ২১ ও ২৮ নম্বর ধারা সম্পূর্ণ বাতিল করার দাবি জানিয়ে আসছে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের দপ্তর। এমনকি এই দুটি ধারায় আগে যত মামলা হয়েছে এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতেও বলা হয়। আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা সংশোধন করারও দাবি তাদের। ২১ মে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রোধ করার জন্য বা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। সংবিধান অনুযায়ী তারা এটি করতেও পারেন না। সাইবার অপরাধের বিষয়ে আইনটি করা হয়েছে। আইনের অপব্যবহার যাতে না হয় সেজন্য তিনি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর কিছু স্থায়ী সমাধান দরকার। তাই আইনটিতে কিছু সংশোধনী আনা হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের কাজ এখনো শুরু হয়নি। তবে সংশোধন হবে এটুকু আমি বলতে পারি। তিনি বলেন, কোন কোন ধারা সংশোধন হবে, তা এখন বলা যাবে না, পরে জানা যাবে। মে মাসে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের অনুষ্ঠানে আনিসুল হক জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না, তবে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তেমন কিছু সংশোধন আনা হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের একটা টেকনিক্যাল (কারিগরি) নোট পাঠানো হয়েছে। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি, তাদের কিছু ধারা বাদ দেওয়া এবং সংশোধনের বিষয়ে পরামর্শ ছিল। দেশের সাংবাদিক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আপত্তি ও উদ্বেগের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাশ হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।