ঢাকা ছাড়ার আগে টাকা-গহনা ব্যাংক বা আত্মীয়ের বাসায় রেখে যান: ডিএমপি কমিশনার


ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যায় রাজধানী। গ্রামের বাড়িতে স্বজনের সঙ্গে কুরবানি দিতে ঢাকা ছাড়বেন অনেকে। ঢাকায় নগদ টাকা বা গহনা খালি বাসায় না রেখে ব্যাংক বা নিকটাত্মীয়ের কাছে রেখে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ফাঁকা ঢাকায় যাতে চুরি-ডাকাতি না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ করব, আপনারা যখন চার-পাঁচ দিনের জন্য বাসা ফাঁকা রেখে বাড়ি-ঘরে যাবেন, তখন দয়া করে মূল্যবান বস্তু অর্থাৎ নগদ টাকা এবং গয়না খালি বাসায় না রেখে ব্যাংকে রাখেন বা নিকটাত্মীয় বা বন্ধু-বান্ধব বা যারা থাকবেন তাদের কাছে জমা রেখে যাবেন। ফাঁকা বাসায় কোনো দুষ্কৃতকারী যদি ঢোকে তাহলে মূল্যবান বস্তু চুরির ভয় থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার ডিএমপি সদর দপ্তরে ঈদ উপলক্ষ্যে ডিএমপির সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, মানুষ এবার স্বস্তিতে যানজটমুক্ত পথে বাড়ি ফিরতে পারবেন। যেসব রাস্তা ভাঙা আছে, সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে। গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদে আমাদের স্পেশাল ব্যবস্থাপনা থাকবে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে আমাদের জানাবেন। আমরা মনিটর করব। কমিশনার বলেন, মহাসড়কের পাশে গরুর হাট কোনোমতেই বসতে দেওয়া হবে না। কেউ বসালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গরু নিয়ে টানাটানি করা যাবে না। গাড়ির সামনে লেখা থাকবে, কোন হাটে যাবে। টানাটানি করলে গ্রেফতার করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈদ জামাতে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, ঈদের জামাতে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। প্রত্যেকটা এলাকায় ফুট ও মোবাইল পেট্রোল থাকবে। রিজার্ভ পুলিশ থাকবে। ফাঁকা ঢাকার বাসাবাড়ির নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে কমিশনার বলেন, প্রত্যেক বাসায় যারা পাহারাদার থাকেন, তাদের নাম্বার নিয়ে আসব, আমাদের নাম্বার দেব। সিসি ক্যামেরাগুলো সচল আছে কিনা তা চেক করা হবে। আমাদের কমান্ড কন্ট্রোল সেন্টার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।