তারেক-জোবাইদার কারাদণ্ড: রায় প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ‘মিথ্যা ও সাজানো’ মামলায় সাজা আওয়ামী সরকারের ফরমায়েশি রায়ের আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো বলে মনে করে বিএনপি। এ রায় প্রত্যাখ্যান করে বিকালে তাৎক্ষণিকভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারা দেশে যৌথভাবে সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছে যুব, ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবক দল। আর শুক্রবার ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে রাজধানীতে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সাজা প্রত্যাখ্যান করে এর প্রতিবাদে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিকালে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বিএনপি। সেখান থেকে শুক্রবার বেলা ২টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। এতে সিনিয়র যুগ্ম সচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রহসনের রায় দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যাকারী দল হিসেবে পরিচিত। তারা (আওয়ামী লীগ) তারেক রহমানকে এতটাই ভয় পায়, তিনি (তারেক রহমান) কখন এ দেশে ছুটে আসেন, এমন অজানা আতঙ্ক ও ভয়ে থাকে। সমাবেশে আরও অংশ নেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বরকতউল্লাহ বুলু, আমানউল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের মাহাবুবুল হাসান ভুঁইয়া পিংকু, আসিফুর রহমান বিপ্লব, মোনতাকিম সারোয়ার রিকিসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজারও নেতাকর্মী। রায়ের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারা দেশের মহানগর ও জেলা শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে যুব, ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবক দল। এর অংশ হিসেবে রাজধানীতে শুক্রবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হবে। বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল-১২ দলীয় জোট রায়কে ‘ফরমায়েশি’ উল্লেখ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। বুধবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, যেভাবে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে রায় দিয়েছেন তাতে এটাই প্রমাণিত হয় বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় দলের অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান প্রমুখ। এছাড়া রায় প্রত্যাখ্যান করে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। এদিকে আজ বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে ‘মিথ্যা’ মামলায় তাদের সাজা প্রত্যাহারের আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. অব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।