তিন দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে সোহেল তাজের স্মারকলিপি


‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসেবে ১০ এপ্রিলকে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিনদফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। আজ সোমবার এই পদযাত্রা শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর দাবি সংলিত স্মারকলিপিও দেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তানজিম আহমদ সোহেল তাজ এদিন বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে গণভবন অভিমুখে পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন। পরে গণভবন গেইটে গিয়ে কর্মকর্তাদের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। পদযাত্রা শুরুর আগে সোহেল তাজ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তাঁর উত্থাপিত তিন দাবির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ১০ এপ্রিল ১৯৭১ একটি তাৎপর্যপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ এবং মোড় ঘোরানো দিন। ১৯৭১ সালের এদিন গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ওই সরকারের সফল নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছিলাম মহান স্বাধীনতা। সোহেল তাজ বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশকে একটি সুন্দর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে নতুন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তখনই অবদান রাখতে পারবে, যখন তারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জানতে পারবে।’ সোহেল তাজের অন্য দুটি দাবি হচ্ছে- ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা। এর আগেও এই তিন দাবিতে তানজিম আহমদ সোহেল তাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় সংসদের স্ত্রিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।