দ্রব্যমূল্য কমানোর ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে : হানিফ


নির্বাচনের ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য কমানোর যে কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া ৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মাহবুবউল আলম হানিফ৷ তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের মানসিকতারও পরিবর্তন করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ায় নৌকার নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন হানিফ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে আনা হবে, এটা বাস্তবে সম্ভব হবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, কেন সম্ভব হবে না, অবশ্যই সম্ভব হবে। হানিফ বলেন, ‘একটু বৃষ্টি হলেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র যদি বলে কোনো পণ্য আপাতত রফতানি করবে না, সঙ্গে সঙ্গে তারা দাম বাড়িয়ে দেন। পরে আবার ওই পণ্য যখনই সরকার আমদানির ঘোষণা দেয়, তখন আবার দাম কমে যায়। এতে বোঝা যায় অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়ায়।’ তিনি বলেন, ‘সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এগুলোর ব্যাপারে এবার কঠোর নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যারা অসাধু উপায়ে এ ধরনের জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এভাবেই নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা হবে।’ হানিফ আরো বলেন, ‘অতীতেও আওয়ামী সব ইশতেহার বাস্তবায়ন করেছে। আগামীতেও বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া হবে।’ দেশের ৮৭ শতাংশ এমপি প্রার্থীরা কোটিপতি- টিআইবির এমন প্রতিবেদন সম্পর্কে হানিফ বলেন, ‘সব মানুষের আয় বেড়েছে, তার মানে এই নয় যে সবাই দুর্নীতি করেছে। এমপিদের আয়ও বেড়েছে, সম্পদ বেড়েছে, সবারই ব্যবসা বাণিজ্য আছে। তার মানে এই নয় যে তারা দুর্নীতি করেছে। না জেনে এইসব কথা তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।’ এসময় বিএনপি প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘অংশ না নিয়ে তারা নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে।’ পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন গো-স্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়ন এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা ও নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়ে বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন মাহবুবউল আলম হানিফ।