নতুন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের আত্মপ্রকাশ


সাম্য ও অধিকার ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির উন্মেষ ও রাষ্ট্র মেরামতের অঙ্গীকার নিয়ে আত্মপ্রকাশ করল নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ’। শুক্রবার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ’। ঘোষণা করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও সংগঠনটির অন্যতম উপদেষ্টা নাসির আব্দুল্লাহর সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে দলের নবঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝরের পরিচালনায় নতুন ছাত্র সংগঠন করার প্রেক্ষিত, উদ্যোক্তাদের রাজনৈতিক পরিচয়, সখ্য ও সংঘবদ্ধতার ইতিহাস, দলের লক্ষ্য ও ছয় দফা কর্মসূচি তুলে ধরে বক্তব্য দেন প্রধান উদ্যোক্তা ও নবঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স। নতুন এই ছাত্র সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্যরাই ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঘোষণাপত্রে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের অন্যতম কিশোর সংগঠক মোহাম্মদ প্রিন্স বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে ব্যাপক ভিত্তিক পরামর্শ ও গবেষণার প্রেক্ষিতে ছাত্রসমাজের মূল সংকট হিসেবে রাজনৈতিক অসচেতনতা বা পলিটিক্যাল ইগনোরেন্সকে চিহ্নিত করেছি। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত তিন মূলনীতি-সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের আলোকে শিক্ষার্থীদেরকে রাজনীতি সচেতন করে তোলাই আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য। ঘোষনাপত্র পাঠ শেষে দলের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের অন্যতম উপদেষ্টা সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নতুন ছাত্র সংগঠনটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক এবং ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি। শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমাদের গত ৬০/৭০ বছরের ছাত্র রাজনীতির সবচেয়ে বড় সংকট হলো জাতিস্বত্তা গঠন ও তার মননশীলতার বিকাশে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে না পারা। শুধুমাত্র ক্ষমতার বলয়কেন্দ্রীক হাতিয়ার ও লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করতে গিয়ে ছাত্র সমাজের শুধু অপূরণীয় ক্ষতিই হয়নি, বরং পুরো ছাত্র রাজনীতির ব্যাপারেই একটা অনীহা জন্মেছে। যার ফলাফল হচ্ছে সৎ, মেধাবী ও চৌকশ তরুণরা বেশি মাত্রায় ক্যারিয়ার প্রিয় হয়ে উঠেছেন, দেশ ও জাতির সেবা করবার কোনো প্রত্যয় তাদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে না।