নতুন শিক্ষাক্রম সফল করতে অভিভাবকের কথাও শুনতে হবে: রাশেদা কে চৌধুরী


সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম সফল করতে হলে অন্য সব অংশীজনের মতো অভিভাবকের কথাও শুনতে হবে। তারা এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। সোমবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘স্কেল ব্লেন্ডেড লার্নিং ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ে ‘চলপড়ি’র গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা বলেন। বৈঠকে হাটহাজারী উপজেলার ৫৬টি স্কুলে ব্লেন্ডেড লার্নিংয়ের ওপর চলপড়ি’র প্রকল্পের ফলাফল তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের গণিত ও ইংরেজি ফলাফল এবং ক্লাসে অংশগ্রহণের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে। অনুষ্ঠানে চলপড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরীন মাহমুদ হোসেন ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এতে উঠে আসে, ব্লেন্ডেড লার্নিংয়ের বিস্তার ও দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের কর্মপরিকল্পনা। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, শিক্ষক যখন বলবেন ‘আই অ্যাম দ্য সলিউশন’ তখনই ডিজিটাল অ্যাডুকেশন আর ব্লেন্ডেড লার্নিং বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব থেকে সরকারকে সরে যেতে দেওয়া যাবে না। শুধু সফলতার গল্প নয়, প্রাণ নির্ভর অ্যাডভোকেসি করতে হবে। চলপড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরীন মাহমুদ হোসেন বলেন, ব্লেন্ডেড লার্নিং ও পিয়ার টু পিয়ার লার্নিংয়ের মাধ্যমে এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব, যা হবে সময়োপযোগী, দায়িত্বশীল ও লক্ষ্যনির্ভর। বাংলাদেশি ডিজিটাল লার্নিং প্ল্যাটফর্ম চলপড়ি-তে আছে জাতীয় শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে তৈরি ইংরেজি ও গণিতের মাল্টিমিডিয়া লেসন, প্র্যাকটিস সেট ও রং-বেরঙের বই। দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিশুর মাঝে মানসম্পন্ন ও আনন্দদায়ক শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দিতে ২০২০ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে চলপড়ি।