নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ আজ


দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ আজ। দুপুর আড়াইটায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ কেন্দ্র করে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। এতে ঢাকা মহানগর ছাড়াও এর আশাপাশের জেলা ও মহানগর থেকেও নেতাকর্মীদের অংশ নিতে বলা হয়েছে। বিএনপিপন্থি পেশাজীবী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও এতে অংশ নেবেন। একই দাবিতে আগামী ১ জুলাই ঢাকা বাদে সব মহানগর ও ৩ জুলাই সব জেলায়ও সমাবেশ করবে। এতে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নেবেন। শুক্রবার নয়াপল্টনের সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এছাড়াও বক্তব্য দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। সমাবেশের জন্য মৌখিক অনুমতি দিয়েছে পুলিশ- জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ৮টা) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেবে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতির কথা জানায়নি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতীক, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার এক নিরবচ্ছিন্ন অঙ্গীকারাবদ্ধ নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ। ইতোমধ্যে নয়াপল্টনের সমাবেশ সফল করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, একটি ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে।’ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকাবাসীসহ দলের সবস্তরের নেতাকর্মীদের যথাসময়ে সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানান তিনি। নয়াপল্টনের এই সমাবেশ সফল করার জন্য বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েক দিন ধরে তিনি বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন এবং নানা দিকনির্দেশনা দেন। সূত্রমতে, এ সমাবেশ সফলে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মহানগরের পদবঞ্চিত নেতারাও তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। অংশ নেবেন ছাত্রদলের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটির পদবঞ্চিত নেতারাও। এছাড়াও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও জেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর, মানিকগঞ্জ জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। তবে নেতাকর্মীদের ব্যানার ও ফেস্টুনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া অন্য কোনো নেতার ছবি ব্যবহার না করতে কেন্দ্র থেকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা জেলা বিএনপিকে পৃথক কোনো কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়নি। এই তিন সাংগঠনিক জেলাকে নয়াপল্টনের সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে থাকতে বলা হয়েছে। সব মহানগর ও জেলার সমাবেশেও অংশ নেবেন সিনিয়র নেতারা : এদিকে ১ জুলাই ঢাকা বাদে সব সাংগঠনিক মহানগরে একই দাবিতে সমাবেশ করবে বিএনপি। গাজীপুর মহানগর ও জেলা একসঙ্গে কর্মসূচি পালন করবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। একইভাবে এদিন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলার সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এবং মহানগরে নজরুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগরের সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। খুলনা জেলা ও মহানগরের সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ, বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগরে ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগরে ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, রংপুর মহানগর ও জেলায় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ফরিদপুর মহানগর ও জেলায় ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, রাজশাহী মহানগর ও জেলার সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এছাড়াও ৩ জুলাই সমাবেশ করবে জেলায়। মানিকগঞ্জে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মুন্সীগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, টাঙ্গাইলে যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, নরসিংদীতে যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ। একইভাবে বাকি সাংগঠনিক জেলার সমাবেশেও কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতারা প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নেবেন।