নাটোরে স্বাস্থ্যকর্মীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি গ্রেফতার


নাটোরের লালপুরে আম বাগানের পাশে মাহমুদা আক্তার বীথি(৩২) নামে এক স্বাস্থ্য সেবিকার গলা কেটে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি মোঃ জাহিদ হাসান সাদ্দামকে(২৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার(২৪ নভেম্বর) রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার আহমেদপুর থেকে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শনিবার(২৫ নভেম্বর) সকালে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অভিযুক্ত আসামি মোঃ জাহিদ হাসান সাদ্দামকে(২৯) বড়াইগ্রাম উপজেলার কামারদহ এলাকার মোঃ সোহরাব হোসেনের ছেলে। পুলিশ জানান, নিহত মাহমুদা আক্তার বীথি লালপুরে গোপালপুর মুক্তার জেনারেল হাসপাতালে অফিস সহকারী হিসেবে করতেন তিনি। প্রতিদিন কাজ শেষে বাড়ি ফিরতেন । কিন্তু শনিবারে অনেক রাত হলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় ভিকটিমের বাবা মো. আমজাদ হোসেন মেয়েকে বিভিন্ন জায়গাহ খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। পরে শুক্রবার সকালে লালপুর উপজেলার গোপালপুর তোফাকাটা মোড় এলাকার রাস্তার পাশে ওই নারীর গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আরও জানান, অভিযুক্ত আসামি সাদ্দামের সঙ্গে ভিকটিম বিথীর দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল। একপর্যায়ে ভিকটিম বিথী আসামি সাদ্দামকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। আসামি সাদ্দাম বিয়ে না করতে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। এতে বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম বিথী সম্পর্ক ফাঁস করে দেয়ার কথা বলে কৌশলে সাদ্দামের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিতেন। এতে সাদ্দাম বিরক্ত হয়ে বিথীকে ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় আসামি সাদ্দাম ভিকটিম বিথীকে কৌশলে ডেকে নেয়। পরে গোপালপুর পৌরসভার তোফাকাটা মোড়ে রাস্তার পাশে আম বাগানে ভিকটিমকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে যায়।