নারীর ইন্টারনেট ব্যবহারে লিঙ্গবৈষম্য প্রকট


নারীর মোবাইল ফোন ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য (জেন্ডার গ্যাপ) প্রকট জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে নারী-পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিতে বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীর অভিগম্যতা ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি’ শীর্ষক প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন তাঁরা। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে এবং আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরমিন্দ নিলোর্মী। প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য রুমানা আলী এমপি, সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সেলিম রায়হান, বেসিসের সাবেক সহসভাপতি এবং ইউওয়াই সিস্টেম লিমিটেডের সিইও ও চেয়ার ফারহানা আনোয়ারা রহমান, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা জানান, ডিজিটাল অভিগম্যতা মৌলিক মানবাধিকারের অংশ। আইসিটি ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স অনুসারে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম। বর্তমানে কর্মসংস্থানে নারীর অংশগ্রহণ ৩৬ শতাংশ। এ জন্য জেন্ডার বাজেটিং টাস্কফোর্সের মাধ্যমে রেজাল্ট বেসজড বাজেট মূল্যায়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে তৎপর। গত দেড় দশকে নারীর ক্ষমতায়নে দেশ অনেক এগিয়েছে। উন্নয়ন ত্বরান্বিত ও সমতা নিশ্চিতে টাস্কফোর্স প্রণয়নের ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ নিতে পারে।’ গ্রামের নারীরা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নিজের আয়ের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে বলে মন্তব্য করেন রুমানা আলী। সম্পত্তিতে নারীর সমানাধিকারের ওপর জোর দেন অধ্যাপক সেলিম রায়হান। আর ফারহানা আনোয়ারা বলেন, উদ্যোক্তা বিবেচনায় বাজেটে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। নারীর মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার খুবই কম। সাইবার সিকিউরিটির মাধ্যমে নারীর হয়রানি প্রতিরোধসেবা আরও সহজ করা দরকার।