নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন দিতে হবে, নয়তো রাজপথে ফয়সালা : মির্জা ফখরুল


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে আজ দেশের মানুষের উপর অত্যাচার করছে। পুলিশ না চাইলেও তাদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে। আজ উন্নয়নের কথা বলে হাজার হাজার কোটি টাকা পকেট কাটে নিয়ে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ শুধু গলাবাজি করে। দেশের মানুষ আজ ভোট দিতে পারে না। তারা ভোট চোর। হাসিনার অধীনে কোন ভোট হবে না, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তা না হলে ফয়সাল হবে রাজপথে। সেই ফয়সালে জিতবে বাংলাদেশ, জিতবে দেশের আপমর জনগণ। তিনি বলেন, সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে ও আন্দোলন থেকে দূরে রাখাতে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও রায় দেয়া হচ্ছে। আর সেই ধারাবাহিকতায়ই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমান উল্লাহ আমানের ফরমায়েশি রায় মহামান্য হাইকোর্ট বহাল রেখেছে। কিন্তু ফরমায়েসী রায় বহাল রেখে আর নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দিয়ে সরকারের এবার শেষ রক্ষা হবে না। শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেল ৩টায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টের দেয়া সাজা বহাল রাখার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি\'র উদ্যোগে সরকারি ইসলামিয়া কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এক গণ-প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আগামীতে আবারও সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন যাতে না হতে পারে সেজন্য সরকার বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমান উল্লাহ আমানকে সাজা দিয়েছে। তারা একতরফা, কারচুপির নির্বাচনের পথে হাঁটছে। বাংলাদেশে সম্পূর্ণভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার যাঁতাকলে পড়েছে, ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলন করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে জনগণের কণ্ঠ স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকারের শুভবুদ্ধি উদয়ের সম্ভাবনা নেই। একমাত্র জনগণের উত্তাল আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ -এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু\'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণপ্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি খ.ম রকিবুল হাসান রতন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামীম খান, রাশেদুল হাসান রঞ্জন, নুর কায়েম সবুজ, হারুন-অর-রশিদ খান হাসান, লিয়াকত আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, মির্জা মোস্তফা জামান, আলমগির আলম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহেদ আলম, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাজেশ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজ প্রমুখ। সিরাজগঞ্জের ইতিহাসে অনুষ্ঠিত স্মরণকালের এ গণ প্রতিবাদ সমাবেশে নেতাকর্মীসহ লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।