নির্বাচন কর্মকর্তার বাসায় আ.লীগ নেতা অবরুদ্ধ, উদ্ধার করল পুলিশ
অনলাইন নিউজ ডেক্স
রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনের বাসায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। পরে এই নেতাকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রোববার রাত ১০টার দিকে নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় আবুল হোসেনের বাসায় ঢোকেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন। তখন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে বাসায় অবরুদ্ধ করেন। এরপর রাত ১২টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
সূত্র জানায়, উদ্ধারের আগ পর্যন্ত বাসাটি ঘিরে রেখেছিলেন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যারা লিমনকে অবরুদ্ধ করেছিলেন তাদের দাবি, লিমনের সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। লিমনকে বাসায় অবরুদ্ধ করার সময় একটি ব্যাগ নিয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে তারা পালিয়েছেন।
লিমনের মামা আবদুল হামিদ সরকার টেকন নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আগামী ২১ জুনের নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। লিমনের বাবা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। লিমনের আরেক মামা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ এই পরিবারটি এবার সিটি নির্বাচনে নোকার প্রার্থীর জন্য কাজ করছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
লিমন যখন অবরুদ্ধ ছিলেন, তখন তার বাবা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ইকবালসহ পরিবারের সদস্যরা আসেন। পরিবারের নারী সদস্যরা চিৎকার করে কান্নাকাটি করছিলেন। মীর ইকবাল ভিড়ের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তার ছেলে মীর ইমতিয়াজ বলছিলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার গায়ে হাত তোলা হলো।
লিমনকে অবরুদ্ধকারী ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাইরে নানা শ্লোগান দিচ্ছিলেন। তারা বলছিলেন, কাউন্সিলর প্রার্থী মামা টেকনকে জেতানো এবং আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীকে পরাজিত করার জন্য টাকা দিতে এসেছিলেন লিমন।
তবে বাসা থেকে কী উদ্ধার করা হয়েছে- তা জানা যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেনি। পুলিশ নির্বাচন কর্মকর্তার বাসার সামনে অবস্থান করছে। পুলিশ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে নিয়ে যায়নি। তিনি তার বাসায় অবস্থান করছেন।
এ ব্যাপারে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দি হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অবরুদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা লিমনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।