নেত্রকোনা-৩ আসনে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই নৌকার কান্ডারী


নেত্রকোনার কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত নেত্রকোনা-৩ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি এবং সহধর্মীনি কেন্দ্রীয় যুব মহিলালীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল এমপি উভয়েই এলাকায় নির্বাচনের মাঠ গুছিয়ে নিচ্ছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনের সাধারন ভোটারদের মাঝে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই নৌকার কান্ডারী হিসেবে ব্যাপকভাবে আলোচনায় রয়েছেন। জানা গেছে, নেত্রকোনার আটপাড়া ও কেন্দুয়া উপজেলায় নারী এবং পুরুষ ভোটারের সংখ্যা প্রায় সমানে সমান। আওয়ামীলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে এলাকার সাধারন ভোটারের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ¯েœহভাজন হিসেবে অসীম কুমার উকিল এমপি এবং সাবেক এমপি অধ্যাপিকা অপু উকিল উভয়েই সমান জনপ্রিয়। রাজনীতি থেকে উন্নয়নমুলক সকল কর্মকান্ডে স্বামীকে পাশে থেকে সব সময় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন সাবেক এমপি অধ্যাপিকা অপু উকিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সমানে রেখে দুই উপজেলার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আ’লীগের কর্মী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় অসীম কুমার উকিল এমপি এবং তারই সহধর্মীনি অধ্যাপিকা অপু উকিল এমপির উপস্থিতিতে সভাগুলো জনসমুদ্রে পরিনত হচ্ছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতিদিন আটপাড়া ও কেন্দুয়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরন করে চলেছেন অসীম কুমার উকিল এমপি এবং সাবেক এমপি অধ্যাপিকা অপু উকিল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার গুরুত্বপূর্ন এ আসনে ৯০’র গণআন্দোলনের অন্যতম সাবেক ছাত্রনেতা অসীম কুমার উকিল এমপি নৌকা প্রতিকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। কেন্দুয়া-নেত্রকোনা সড়ক প্রশস্তকরণে শতকোটি টাকা বরাদ্ধসহ দুই উপজেলায় শিক্ষার প্রসারে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার আধুনিক ভবন নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়ন, অসংখ্য ব্রীজ, কালভাট নির্মাণসহ এলাকায় অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন কাজের বাস্তবায়ন করেছেন। করোনাকালীন সময়ে কেন্দুয়া-আটপাড়াবাসীর পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানকালে অসীম কুমার উকিল এমপি এবং তার সহধর্মীণি সাবেক এমপি অধ্যাপিকা অপু উকিল দুইবার করোনায় আক্রান্ত হন। ওই সময় নির্বাচনী এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন মন্দির, উপাসনালয়ে তাদের রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা হয়েছে। বিগত নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে অসীম কুমার উকিল দম্পত্তি দুই উপজেলায় আ’লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়নসহ জেলার প্রতিটি প্রাকৃতিক দূর্যোগে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। কেন্দুয়াস্থ সাংসদের উকিল বাড়িতে নিয়মিত নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় এবং এলাকার উন্নয়নে করনীয় সম্পর্কে অসীম কুমার উকিল এমপি সকলকে দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন। সাবেক ছাত্রনেতা অসীম কুমার উকিল এমপি ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পরিসংখ্যান বিভাগে বি.এস.সি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৮১ সালে এম.এস.সি ডিগ্রী লাভ করেন। অসীম কুমার উকিল এমপি ১৯৭৮ সালে জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, ১৯৮০ সালে ডাকসুর নির্বাচিত সদস্য, ১৯৮১ সালে জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক, ১৯৮৪ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক এবং ১৯৮৬ সালে প্রচার সম্পাদক, ১৯৮৯ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক, ১৯৯৩ সালে আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক, ২০০২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আ’লীগের টানা উপ-প্রচার সম্পাদক এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত ২০০২ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময়ে অসীম কুমার উকিল গ্রেপ্তার হয়ে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবরণ এবং ২০০৭ সালের ১/১১ চলাকালীন পুনরায় গ্রেপ্তার হয়ে ৭ মাস কারাবণ করেছেন। সাবেক ছাত্রনেতা অসীম কুমার উকিল এমপি ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে জাপান, ছাত্রনেতা হিসেবে চেকোশ্লভিকিয়া এবং ভারত, আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে চীন, ভারত, বৃটেন, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ইটালী, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা ভ্রমন করেছেন। কেন্দ্রীয় যুব মহিলালীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাবেক এমপি অধ্যাপিকা অপু উকিল এমপি বলেন, বিশ্বমানবতার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যেই স্মাট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলকেই নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে হবে। নৌকা উন্নয়নের প্রতীক, নৌকা গনতন্ত্রের প্রতিক, নৌকা আওয়ামীলীগের প্রতিক। শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমরা এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। একই আসনে স্বামী-স্ত্রীর প্রার্থীতা প্রসংগে অপু উকিল এমপি বলেন, এলাকার সাধারন জনগন আমাদেরকে সমানভাবে ভালবাসেন, আমাদের ওপর সব সময় অস্থা রাখেন এবং আমাদেরকে পছন্দ করেন।