পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভোট কেনাবেচা হয়নি: আচাকজাই


পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি। নির্বাচনে জারদারি ২৫৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট পদে লড়েছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) মাহমুদ খান আচাকজাই। গতকালের নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ১১৯ ভোট। তবে প্রেসিডেন্ট পদে হেরে গিয়েও নির্বাচনি প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেছেন আচাকজাই। তাকে যেসব সংসদ সদস্য ভোট দিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, নির্বাচনের পর সংসদ ভবনের বাইরে সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে আচাকজাই বলেন, \'পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভোট কেনাবেচা হয়নি। নির্বাচন চমৎকার পরিবেশে হয়েছে। আমি আমার প্রার্থিতা সমর্থন করার জন্য পিটিআইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। \' তিনি আরও বলেন, \'এই নির্বাচনে অনন্য কিছু ঘটেছে। আগে সংসদ সদস্যদের পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হতো, কিন্তু এখন একটি পরিবর্তন এসেছে, যা একটি ইতিবাচক উন্নয়ন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। \' পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ বিশ্বাস করে, পাকিস্তানে সব কিছু কেনাবেচা করা যায়, কিন্তু এখনো এমন কিছু মানুষ আছে, যারা এ ধারণার বিরোধিতা করে। আর তাদের মধ্যে একজন হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। \' কিছু সংসদ সদস্য তাদের দলীয় নেতাদের নির্দেশের কারণে তাকে ভোট দিতে পারেননি বলেও উল্লেখ করেছেন আচাকজাই। বলেছেন, \'একজন তরুণ সংসদ সদস্যকে সতর্কতা জারি করা সত্ত্বেও তিনি আমাকে ভোট দিয়েছেন। \'