পুনরায় উভয় ইউনিট চালু, চাহিদামতো নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছে আদানি


উভয় ইউনিটের মাধ্যমে পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরেছে আদানি পাওয়ার। কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ১৩ আগস্ট ২য় ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এতদিন প্রথম ইউনিটের মাধ্যমে সরকারের চাহিদামতো সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ দিয়ে যাচ্ছিল আদানি। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে দ্বিতীয় ইউনিটও উৎপাদনে ফিরে। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ১ম ইউনিট থেকে ৫১৩.৩২ মেগাওয়াট ও ২য় ইউনিট থেকে ৬৬৮.৫৭ মেগাওয়াট এবং দুপুর ১টা নাগাদ ১ম ইউনিট থেকে ৫৯৩.৩৫ মেগাওয়াট ও ২য় ইউনিট থেকে ৭৬৩.৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন রেকর্ড করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এতদিন আদানির এক ইউনিট বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবি) সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছিল কোম্পানিটি। সম্প্রতি এক বিবৃতির মাধ্যমে আদানি অপ্রত্যাশিত কারিগরি ত্রুটির জন্য দুঃখপ্রকাশ করছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, আদানির মতো যেকোনো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যেকোনো কোম্পানির পাওয়ার প্লান্ট চালানোর ক্ষেত্রে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, শিগগিরই পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরতে পারব। এরপরই মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশে দুই ইউনিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু হয়। এদিকে সম্প্রতি ভারতে জ্বালানি আইনের সংশোধন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে চুক্তিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। চুক্তি অনুযায়ী, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে আদানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রায় ৮০ কোটি ডলার বকেয়া থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ দিয়ে যাচ্ছে আদানি।