পুলিশের সামনে আগুন দেয়, তারা কি ললিপপ খায়: ব্যারিস্টার রুমিন
অনলাইন নিউজ ডেক্স
রাজনীতির যে কোনো ইস্যুতে সোচ্চার থাকেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর রুমিন টক শোতে নানা ইস্যুতে দলের পক্ষে জোরালো অবস্থান তুলে ধরে নিজের আলাদা একটা পরিচিতি তৈরি করেছেন।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে অংশ নেন রুমিন ফারহানা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। সেখানে উঠে আসে গত ২৯ জুলাই বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও বাসে আগুন দেওয়ার প্রসঙ্গ।
এ সময় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আওয়ামী লীগের অভিযোগ বিএনপি আগুনসন্ত্রাসে আবার নেমে গেছে— এ বিষয়ে কী বলবেন? প্রশ্নোত্তরে রুমিন ফারহানা বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক নাটক সাজিয়েছে। সেই নাটকের অংশ ফোনকল ও বাসে আগুন দেওয়া। পুলিশের সামনে বাসে আগুন দিয়ে মোটরসাইকেলে চলে যায়। পুলিশ তখন কি করে। বাইকে কারা ছিল— এটি কি আপনার আমার টকশোতে বসে বের করার কথা। অথচ দুহাত দূরে থেকে পুলিশ ভিডিও করে।
টকশোর ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রুমিন ফারহানা বলেছেন— পুলিশের সামনে যখন বাসে আগুন দেয়, এ সময় তারা কি ললিপপ খায়? এ সময় শামীম ওসমান কথা বলার চেষ্টা করলে রুমিন ফারহানা থামিয়ে দেন।
রুমিন ফারহান বলেন, ২০১৩-২০১৪তে আগুনসন্ত্রাস নিয়ে আওয়ামী লীগ নাটক সাজিয়েছে। ১৩০০ মামলা দিয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২৭টি চার্জশিট দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আবার নাটক শুরু করেছে সরকার। এ সময় রুমিন ফারহানা দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমের একটি সূত্র ব্যবহার করেন।
পরে শামীম ওসমান বলেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা যে পত্রিকার তথ্য সূত্র ব্যবহার করেছেন, সে পত্রিকা আমার প্রধানমন্ত্রী পড়েন না। সেই পত্রিকার নিজস্ব এজেন্ডা থাকতে পারে। এ কথা বলামাত্রই রুমিন ফারহানা উপস্থাপককে বলেন— আমি কি কথা বলব, না উনি (শামীম ওসমন) বলবেন আপনি নির্ধারণ করেন।
এ সময় শামীম ওসমান বলেন, রেগে যেওনা ভাই, পরে তো ওকালতি করতে পারবা না। কারণ ওকালতি তো করতে হবে। আর আপনারা রেগে গেলে আমি ভয় পাই।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।