পুলিশ ভেবে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ঝুনুর ১৪ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা


বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে এক শিক্ষক হত্যা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদৎ আলম ঝুনুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিবি পুলিশ রোববার রাতে তাকে শহরের মালতিনগর ভাটকান্দি সড়কের বাসা থেকে গ্রেফতার করে। ডিবির ওসি মুস্তাফিজ হাসান এ তথ্য দিয়েছেন। সোমবার বিকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামীম রেজা জানান, শাহাদৎ আলম ঝুনুকে আদালতে পাঠিয়ে ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। পরবর্তীতে শুনানি হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহাদৎ আলম ঝুনু বগুড়া শহরের মালতিনগর ভাটকান্দি সড়কের বাসিন্দা। তিনি বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি গত ১০ অক্টোবর পদত্যাগ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের সাতমাথায় ডাকবাংলোর সামনে সেলিম হোসেন (৩৫) নামে এক শিক্ষককে পুলিশ ভেবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বগুড়ার শিবগঞ্জের পীরব ইউনিয়নের পলিকান্দা গ্রামের সেকেন্দার আলী গত ১৬ আগস্ট সদর থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শাহাদৎ আলম ঝুনুসহ ১০১ জনের নাম উল্লেখ করে ৪৫১ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ সাত নেতার নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর ককটেল ও পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এদিকে অন্যতম আসামি সাবেক অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনুর পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও কোনোদিন সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি একজন গুণী শিক্ষক। তার কারণে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ ফলাফলে জেলার অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে।