পৃথিবীর কোথাও শতভাগ ভোট পড়ে না


রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশেন নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু, আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমরা দিনভর নির্বাচন মনিটরিং করেছি। সকাল ৮টা থেকে শেষ অব্দি। মাঝে আধাঘণ্টা প্রবল বৃষ্টির কারণে কিছুটা ব্যাঘাত হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন হয়েছে। সিইসি বলেন, শতভাগ ভোট কখনোই নিশ্চিত হয়নি। পৃথিবীর কোথাও শতভাগ ভোট পড়ে না। ৫০ শতাংশ ভোট গুড এনাফ। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ হলে এক্সিলেন্ট। আমরা সেটা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করে যাব। বুধবার বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা সন্তুষ্ট বোধ করছি, কারণ কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটার অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কোথাও ভোট বাধাপ্রাপ্ত হয়নি। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে নজর রেখেছি। মিডিয়াও অপ্রীতিকর ঘটনার কোনো সংবাদ দেয়নি। আমরা মনে করি, সার্বিকভাবে আজকের নির্বাচন ভালো হয়েছে। তিনি বলেন, রাজশাহীতে অনুমানিক ৫২ থেকে ৫৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল। সিলেটে কমেবেশি ৪৬ শতাংশ উপস্থিতি জানতে পেরেছি। কিছুটা হেরফের হতে পারে। বাসাইল পৌরসভা নির্বাচনও ভালো হয়েছে। ৭০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি হয়েছে। রাজশাহী সিটিতে ভোট চলাকালীন এক নারী বারবার গোপনকক্ষে প্রবেশ করেছেন। এ জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সেটা আমরা তদন্ত করব। সিসি ক্যামেরায় আমরা দেখেছি, একজন মহিলা একাধিকবার ভেতরে যাচ্ছেন। ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আধাঘণ্টার মধ্যে জানতে পেয়েছি বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট তাকে তিনদিনের সাজা দিয়েছেন। এটা একটা দৃষ্টান্ত হতে পারে যে, ম্যালপ্র্যাকটিসের জন্য সাজা হতে পারে। তবে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দেখল না কেন, আমরা সেটা তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। সার্বিক মূল্যায়নের বিষয়ে সিইসি বলেন, সার্বিক মূল্যায়নটা হচ্ছে পাঁচটি নির্বাচন ভালো হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনকে উৎসাহিত করবে। ভোটারদের উৎসাহিত করবে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে আগ্রহবোধ করবেন। তারপরও ভবিষ্যতেরটা ভবিষ্যতে দেখব। তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলব না। জিনিসটা উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে, যারা রাজনীতিবিদ, প্রার্থী হবেন, ভোটাররা; তাদের সকলের মধ্যে একটা ইতিবাচক চিন্তা-চেতনা সৃষ্টি হতে পারে। ভোটপ্রদান ও ভোটগ্রহণকে উৎসাহিত করবে।