প্রতিদিন ২ হাজার বাস্তুহারা মানুষের রান্না করে জামিল পরিবার


গাজার সংকটে প্রতিদিন দুই হাজার বাস্তুহারা মানুষের রান্না করেন জামিল আবু আসি (৩১)। থাকেন দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহরের পূর্বের শহর বানি সুহাইলাতে। তার চাচাতো ভাইয়েরাও আছেন তার সাথে। ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের বোমা হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে আবু আসি পরিবার বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে নিয়মিত খাওয়াচ্ছেন। অনেক আগেও রান্না করতেন জামিল। ২০১৪ সালে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় তার রান্নাঘর ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার পরিবার এ কাজ ধরে রাখলেও তিনি এ কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি ও তার পরিবার এখন আবারও রান্না করছেন। তবে অর্থ উপার্জনের জন্য নয়, অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষদের খাওয়ানের জন্য। বিশেষভাবে যারা গাজায় ইসরাইলি আক্রমণ ও অবরোধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে তাদের সাহায্য করার লক্ষ্যে। জামিল ও তার চাচাতো ভাইয়েরা নিজেদের কাজ ভাগ করে নিয়েছেন। একজন পেঁয়াজ কাটেন। আরেকজন রান্নার দায়িত্ব পালন করেন। তৃতীয়জন খাবারের প্যাকেজিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। বেশির ভাগ সময় চাল, মসুর ডাল ও সবুজ সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা হয়। আগে মাংস পাওয়া গেলেও ইসরাইলি আগ্রাসনের পর থেকে তা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জামিল বলেন, ‘আমরা ক্ষুধার্ত মানুষদের খাবার খুঁজে না পাওয়ার যন্ত্রণাকে মেনে নিতে পারি না। এজন্য এ উদ্যোগটি নিয়েছি। সকাল ৭টায় খাবারের প্রস্তুতি শুরু করা হয়। রান্না চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। যাদের খাবার দরকার তাদের আমরা দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে আসতে বলেছি।’ এক বেলার খাবারের জন্য কিছু পরিবার বেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ভিটেহারা পাঁচ সন্তানের মা কারামা মুসাল্লাম বলেন, ‘আমি আবু আসির পরিবারের কাছে খাবার নিতে গিয়েছিলাম। তারা আমাকে দুটি খাবার দিয়েছে যাতে এটি আমার বাচ্চাদের জন্য যথেষ্ট হয়। তারা আমাকে বলেছিল যে, আমি প্রতিদিন আসতে পারি। আমি অনেক খুশি হই।’