প্রতিমন্ত্রীর সভায় না আসায় হামলা, আহত ১৫
অনলাইন নিউজ ডেক্স
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীমের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আবাসিক হলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢুকে জুনিয়র ১৫ শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নামধারীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাত ৮টায় বরিশাল সদর উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় ক্যাম্পাসের বয়েজ হলে এই ঘটনা ঘটে।
এতে হলের ৪০০ শিক্ষার্থীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহতদের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নামধারী সাকিব ভূইয়া জানান, ‘বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ম্যুরাল ভাঙচুরের চেস্টা চালায় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। বাধা দিতে গেলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল।
আহতদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তারা হলেন, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আতিক শাহরিয়ার, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল ও বসে শিক্ষার্থীর আশিকুজ্জামান সজীব। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হলে ফিরে গেছে।
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার কলেজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম। ওই অনুষ্ঠানে আবাসিক ছাত্রদের উপস্থিত থাকার জন্য রোববার রাতে হুমকি দিয়ে আসে ছাত্রলীগ নামধারীর। কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি এমন শিক্ষার্থীদের শাসাতে সোমবার তিন দফা আবাসিক হলে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ নামধারীরা। তৃতীয় দফায় রাত ৮টার দিকে প্রবেশ করে হলে অবস্থানরত ১৫ শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে ছাত্রলীগকর্মী পরিচয় দেওয়া দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাকিব ভূইয়ার নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন। সাকিব ক্যাম্পাসে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। হামলার সময় সাকিবের সাথে ধারাল অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আশরাফুল, আনাস, মাহিন চৌধুরী, তাসিন, হিমো রাকিব, শাহরিয়ার তানভীর, সিফাতসহ বেশ কিছু বহিরাগতরাও ছিল।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাকিব দাবি করে যে ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর মুরাল উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছিল। জামায়াত-বিএনপির লোকজন মুরাল ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে সাধারণ ছাত্ররা বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আবাসিক হলে ঢুকে হামলা চালানোর মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক লিটন রাব্বানী বলেন, ‘আমরা আপাতত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এ বিষয়ে আলোচনা করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ওসি আব্দুর রহমান মুকুল জানান, ‘আমরা ক্যাম্পাসে রয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।